সরকারে যোগ দিয়ে শক্তিহীন ও অবরুদ্ধ ফিল করছেন আসিফ নজরুল

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৫, ১৪:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

অর্ন্তবর্তী সরকারে যোগ দেওয়ার পর নিজেকে ‘শক্তিহীন, দুর্বল এবং অবরুদ্ধ’ অনুভব করছেন বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের এক বিশেষ সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্ন্তবর্তী সরকারের সবাই জনগণের সেবক দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের অর্ন্তবর্তী সরকারের অনেক দুর্বলতা আছে। আমরা সত্যিই সত্যিই সত্যিই সেবকের মতো, বাংলাদেশের সংবিধানে আছে সরকারে যারা আছে তারা জনগণের সেবক। আমার কাছে বহু অন্যায় তদবির আসে, যেই মুহূর্তে তদবির মানি না- কিছুদিন পর ভারতের দালাল বলা শুরু করে। সোশ্যাল মিডিয়া যা ইচ্ছা বলে, ভিডিও প্রোগ্রাম বানাতে শুরু করে। মামলা তো দূরের কথা, কিচ্ছু বলি না। কোনো উত্তর দেই না; মনে করি দায়িত্বে আছি থাক। গুজব-মিথ্যাচারের বিষয়টি জনগণের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমার পার্সোনাল ফিলিংসে মনে হয়, জীবনে কখনও নিজেকে এত শক্তিহীন, দুর্বল এবং অবরুদ্ধ ফিল করি নাই। এই সরকারে জয়েন করে যেটা আমি ফিল করছি। সমালোচনার ক্ষেত্রে বলছি, সোশ্যাল মিডিয়ার কথা বলছি, মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার কথা বলছি না। তারপরও আমরা কোনো মামলা করি নাই। শুধু আমার না; সরকারের যারা বেশি পরিচিত তারা সবাই নোংরামির শিকার। সরকার নিয়ে, আমাকে নিয়ে ভয়াবহ মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

আসিফ নজরুল বলেন, সংস্কারটা কিন্তু একদিনে হয় না; আমি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কার্যক্রমে ইনভলড। আপনি যদি আজকে যে ঢাকা ফুটবল লীগে খেলে তাকে ইংল্যান্ডে তিন মাস ট্রেনিং দেন, সে কি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলতে পারবে?- এটা সম্ভব না। একটা ইনক্রিমেন্টাল সংস্কার হতে হয়। প্রথম ৩ বছর এটা করেন, পরের ৫ বছর এটা করেন; আপনাদের পক্ষ থেকে যদি ইনক্রিমেন্টাল প্রস্তাব আসে তাহলে আমাদের জন্য কাজটা করতে সুবিধা হয়।

প্রথম আলোর সমালোচনা করে আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রথম আলোতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামের পাশে বিএনপিপন্থী লেখা হত। জাফরুল্লাহ চৌধুরী যদি বিএনপিপন্থী হয়- তাহলে আনিসুজ্জামান ও জাফর ইকবালের নামের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগপন্থী লেখা হয় না কেন?

আসিফ নজরুল বলেন, অধিকাংশ সংস্কার দরকার বিচার বিভাগ ও পুলিশের ক্ষেত্রে। বিচার বিভাগকে উন্নত করতে কাজ করা হচ্ছে। আদালতকে ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে, যদিও এটি সময় সাপেক্ষ। তারপরও ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি কোর্ট ডিজিটালাইজ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে মিথ্যা মামলাসহ অন্যায়ভাবে প্রচুর আটক হয়। সেটা রোধেও কাজ করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ভুয়া মামলা করে থাকে।

উপদেষ্টা বলেন, ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে মাত্র ১৫ জনকে। মামলা নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। যারা করছে, তারা মিথ্যা মামলা করলে পুলিশের নিষেধ করার সুযোগ কম।

সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপার জামিন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন– কে জামিন পাবে আর কে পাবে না, আইন মন্ত্রণালয় থেকে তার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয় না। বিচারকরা স্বাধীন। কোন গ্রাউন্ডে জামিন পাচ্ছে না, তা বিচার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতরাই বলতে পারবেন।


আমার বার্তা/এমই