প্রতিদিন ব্ল্যাক কফি খেলে কী হয়?

প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

আপনি কি কফি খেতে ভালোবাসেন, বিশেষ করে ব্ল্যাক কফি? কাজের চাপে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায় এককাপ ব্ল্যাক কফি না হলে আপনার চলেই না? এর আকর্ষণীয় স্বাদ আর গন্ধ আপনার খুবই প্রিয়? শুধু স্বাদ কিংবা গন্ধ নয়, ব্ল্যাক কফির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা আপনাকে অবাক করে দিতে পারে। তবে সেজন্য আপনাকে কফির সঙ্গে দুধ, চিনি কোনোটাই মেশানো চলবে না। খেতে হবে কেবল ব্ল্যাক কফি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এর উপকারিতা সম্পর্কে-

কর্মক্ষমতা উন্নত করে

ব্ল্যাক কফিতে ক্যাফেইন থাকে। এটি একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক যা অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা এবং সহনশীলতা বৃদ্ধি করে শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এটি ওয়ার্কআউটের সময় সতর্কতা এবং মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়

ব্ল্যাক কফিতে থাকা ক্যাফেইন ডোপামিন এবং নোরেপাইনফ্রিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার বৃদ্ধি করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে। যার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে নিয়মিত ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন।

ওজন কমানোর জন্য ব্ল্যাক কফি

ব্ল্যাক কফিতে ক্যালোরি কম থাকে এবং বিপাকীয় হার বৃদ্ধি করে, এটি চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে। এই কফি অস্থায়ীভাবে ক্ষুধাও দমন করতে পারে, যা সুষম খাদ্যের অংশ হিসাবে গ্রহণ করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রহণ

ব্ল্যাক কফি ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং পলিফেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এই যৌগগুলো শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেলকে নিউট্রাল করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে ব্ল্যাক কফি আমাদের ত্বকের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। এটি নিয়মিত পান করলে তা অকাল বার্ধক্যকে বিলম্বিত করতে পারে।

রোগের ঝুঁকি হ্রাস

নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করলে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিস, পার্কিনসন রোগ, হৃদরোগ এবং নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার সহ কিছু স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি কমায়। ব্ল্যাক কফি লিভারের এনজাইমের মাত্রা হ্রাস করে। যে কারণে এটি ফ্যাটি লিভার এবং সিরোসিসের মতো লিভারের রোগ থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। রক্তনালীর কার্যকারিতা উন্নত করার এবং প্রদাহ কমানোর ক্ষমতার কারণে ব্ল্যাক কফি স্ট্রোকের ঝুঁকিও হ্রাস করে।

মানসিক সুস্থতা

পরিমিত ব্ল্যাক কফি পান করলে তা মেজাজ এবং মানসিক সুস্থতার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি হতাশার ঝুঁকি কমায় এবং মনকে সতেজ করতে সহায়তা করে। তাই মানসিক চাপ দূরে রাখতে চাইলে নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করতে পারেন।

আলঝাইমার এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়

ব্ল্যাক কফিতে প্রচুর ক্যাফেইন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলোর স্নায়ু সুরক্ষামূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যে কারণে নিয়মিত ব্ল্যাক কফি পান করলে আলঝাইমার এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে যায়।