জীবনে সুখী হওয়ার জন্য যে ৪ কাজ করতে হবে

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:০৯ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

সুখী হওয়ার সংক্ষিপ্ত কোনো রাস্তা নেই। একজন সুখী মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাইলে আপনাকে সারাজীবন ধরেই কিছু ভালো কাজের চর্চা করে যেতে হবে। দৈনন্দিন অভ্যাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে আপনার মানসিক সুস্থতা। আপনি যদি স্বেচ্ছায় এবং অন্যায়ভাবে কারও ক্ষতি করে থাকেন, তবে আপনার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হবেই। মনোবিজ্ঞান বলছে, দৈনন্দিন কিছু কাজ আমাদের সুখী হওয়াকে সহজ করে দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. প্রতিদিন কৃতজ্ঞতার চর্চা করুন

কৃতজ্ঞতা হলো কারও সুখ বৃদ্ধির সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ারের মধ্যে একটি। সাইকসেন্ট্রালের একটি নিবন্ধ অনুসারে, নিয়মিতভাবে জীবনের ভালো জিনিসগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং নিজের যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকার অভ্যাস, মস্তিষ্ককে ইতিবাচকতা এবং জীবনের ভালো দিকগুলোতে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করে।

তাই প্রতিদিন তিনটি জিনিস লিখে রাখার অনুশীলন করুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এটি আপনার মানসিক সুস্থতাকে শক্তিশালী করবে এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা হ্রাস করবে।

২. অর্থপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলুন

আমাদের আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কগুলো আমাদের মানসিক সুস্থতা এবং দীর্ঘমেয়াদী সুখের ওপর বিশাল প্রভাব ফেলে। ২০২৪ সালে ফ্রন্টিয়ার্স ইন সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে সামাজিক সহায়তা ইতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি এবং উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা হ্রাসের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে জড়িত।

হার্ভার্ডের আরেকটি গবেষণা, যা ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচালিত হয়েছিল, যার শিরোনাম ছিল ‘স্ট্যাডি অফ অ্যাডাল্ট ডেভলপমেন্ট’, দেখা গেছে যে সম্পদ বা খ্যাতি নয়, ভালো সম্পর্কই সুখী ও সুস্থ জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী সূচক। তাই আপনার প্রিয় বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের জন্য সময় বের করুন এবং তাদের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটান।

৩. দৈনন্দিন জীবনে মননশীলতা

ধ্যান এবং মননশীলতার সহজ দৈনন্দিন অভ্যাস আপনাকে অতীত বা ভবিষ্যতের বিষয়ে চিন্তা না করে কেন্দ্রীভূত এবং বর্তমান মুহুর্তে থাকতে সাহায্য করে।

ব্রিটিশ জার্নাল অফ হেলথ সাইকোলজিতে প্রকাশিত ২০২৪ সালে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট মননশীলতা অনুশীলন করলে উদ্বেগ ১২.৬% এবং বিষণ্ণতা ১৯.২% কমে। এটি সামগ্রিক সুস্থতা এবং স্বাস্থ্যের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবও উন্নত করে।

তাই প্রতিদিন অন্তত ১০ মিনিট ধ্যান করে শুরু করুন এবং দৈনন্দিন জীবনে মননশীলতা অনুশীলন করুন। ধীরে ধীরে এটি আপনাকে জীবনের ছোট এবং আনন্দময় মুহূর্তগুলোকে উপলব্ধি করতে এবং আরও শান্তিতে থাকতে সাহায্য করতে পারে।

৪. সকলের প্রতি সদয় হোন

অন্যদের প্রতি সদয় হোন এবং তাদের সাহায্য করুন কোনো বিনিময়ের প্রত্যাশা ছাড়াই। এতে জীবনে সুখী বোধ করবেন। ছোট ছোট সদয় কাজ অনুশীলন করা, যেমন কাউকে প্রশংসা করা, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করা, অথবা কেবল মন দিয়ে কারও কথা শোনার অভ্যাস ডোপামিন এবং অক্সিটোসিনের মতো ভালো লাগার হরমোন নিঃসরণকে ট্রিগার করতে পারে। যা আপনার ভালো থাকার অনুভূতি বাড়িয়ে তুলবে।


আমার বার্তা/জেএইচ