ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, গণপরিবহনের ভোগান্তি

প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

কর্মস্থলে যোগ দিতে ঈদুল ফিতর ও বৈশাখের আমেজ শেষে রাজধানীতে আসতে শুরু করেছে মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন কর্মজীবীরা। 

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় দেখা গেছে ভোর থেকে দূরপাল্লার বাস ঢুকছে ঢাকায়। বাস থেকে নেমে সিএনজি, অটো মোটরবাইক যোগে নিজ গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে সবাই। তবে গত কয়েক বছরের মতো চাপ নেই গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রত্যাশার ৬০ শতাংশ মানুষ এই রুটে ঢাকা ফিরছেন।

এদিকে বাড়ি থেকে কর্মমুখী মানুষ ঢাকায় ফেরায় ফাঁকা নগরীতে ফিরেছে ব্যস্ততা। তবে গণপরিবহন সংকট থাকায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে ঢাকায় ফেরা মানুষদের। এতে দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক কে।

ঠাকুরগাঁও রানিসংকৈল থেকে হানিফ বাসে এসেছেন কামরুল হাসান। রাস্তায় তেমন জটিলতা পাননি তিনি। তবে সকাল ৭টায় গাবতলীতে গণপরিবহন না থাকায় প্রায় ৪০ মিনিট রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়েছে তাকে।

কামরুল হাসান বলেন, সারা রাস্তায় স্বস্তিতে আসছি। কোন ঝামেলা হয় নি। তবে ঢাকা ঢুকে একটি জটিলতা পেয়েছি। গাড়ি ছিল না। সিএনজি অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছিলো। তাই ৪০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করছি।

ফাতেমা আক্তার নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, সকালে গণপরিবহন নেই। ঢাকা ফাঁকা থাকায় বাসও তেমন নাই রাস্তায়। এই সুযোগ টা কাজে লাগাচ্ছে সবাই। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এ ছাড়া আর কোন ভোগান্তি পাইনি। 

গাবতলী বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মোস্তাফিজ বিল্লাহ বলেন, আমাদের কাঙ্ক্ষিত যাত্রী যাওয়ার সময়ও মেলেনি। আসার সময়ও নেই। মানুষ ট্রেনের টিকিট বেশি নিচ্ছে। ফলে কিছুটা সংকট বাস সেক্টরে আছে।

এদিকে একের পর এক দূরপাল্লার বাস ঢুকছে রাজধানীতে। ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরতরা বলছেন, প্রতি ঘণ্টায় ২ শতাধিকে বেশি বাস ঢাকায় প্রবেশ করছে। এতে সময়ের সাথে ফাঁকা রাজধানীর যানজট বাড়ছে। বসে থাকা গণপরিবহনগুলোও সড়কে নামছে। ফলে যানজট নিরসনে কিছুটা চাপ নিতে হচ্ছে ট্রাফিকের দায়িত্বরতদের। 

গাবতলী মাজার রোডে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ রবিউল ইসলাম বলেন, ভোর ৫টা থেকে গাড়ি ঢুকছে। ৭টার দিকে চাপ বাড়ে। এখন ক্রমশ গাড়ি ঢুকছে ঢাকায়। আমাদের সন্দেহ মনে হলে জিজ্ঞাসা করে কাগজ পত্র চেক করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা চোখে পড়েনি।