অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার সুপারিশ
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ১৩:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আগত মোট রোগীর মধ্যে অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে সম্পূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন। ২০ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ সরকারিতে আর বাকি ১০ শতাংশ রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশন সদস্যরা এ সব কথা বলেন।
কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, রোগী সুরক্ষা, আর্থিক বরাদ্দ ও ধারাবাহিকতা, জবাবদিহি এবং জরুরি প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পুরাতন আইন পর্যালোচনা ও যুগোপযোগী করতে হবে। এছাড়া নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে।
প্রস্তাবিত নতুন আইনগুলোর মধ্যে আছে– বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন; বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন; প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন; ঔষধের মূল্য নির্ধারণ ও প্রবেশাধিকার আইন; অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিল আইন; বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল আইন; স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ও রোগী নিরাপত্তা আইন; হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক এক্রেডিটেশন আইন; বাংলাদেশ সেফ ফুড, ড্রাগ, আইভিডি ও মেডিক্যাল ডিভাইস আইন। এছাড়াও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, মেডিক্যাল শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল আইন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন, পৌর ও সিটি কপোরেশন আইন ইত্যাদি আইনেরও সংশোধনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে এই কমিশন।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। স্বাস্থ্য খাতে এ ক্ষেত্রে বাজেট বর্তমানে খুবই কম, এই বাজেট দিয়েও করা সম্ভব যদি ঠিকমতো অরগানাইজ করা যায়। দ্বিতীয়ত যদি স্বাস্থ্যসেবা দিতে হয়, তাহলে আলাদা একটি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের অধীনে আসতে হবে। আমরা প্রস্তাব করেছি, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন এটা দেখভাল করবে, আরেকটি হলো স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, সেটাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। সেটা এক জায়গায় থাকবে না, প্রত্যেক বিভাগে একটা হতে পারে। দেশের দুটি বড় বিভাগীয় শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামে এটা করা যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয় হলো স্বাস্থ্য শিক্ষা, এই জিনিসটা বদলিজনিত চাকরি কিংবা পার্ট টাইম চাকরি দিয়ে হতে পারে না। আমরা প্রস্তাব করেছি, স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মতো হবে। এখানে বদলি করার মতো চাকরি হবে না, এখানে যারা একাডেমিক পদবীধারী হবেন তারা পূর্ণকালীন চাকরি করবেন, তারা বাইরে প্র্যাকটিস করবেন না। যাতে মানসম্মত বা মেধাসম্মত লোক আকৃষ্ট হয়, সে জন্য তাদের জন্য আলাদা পে স্কেল করতে হবে এবং ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিসের মধ্যে প্রাইভেটে রোগী দেখে প্রাতিষ্ঠানিক আয় ও ওই ব্যক্তির আয়ের পথ তৈরি করা যেতে পারে।
আমার বার্তা/জেএইচ