এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব শফিকুল
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৫, ১৩:২৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে—অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া এমন ঘোষণা নিয়ে নতুন করে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
প্রধান উপদেষ্টার এ ঘোষণায় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সমমনা কিছু দল খুশি হলেও ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবিতে অনড় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এপ্রিলকে নির্বাচনের জন্য কোনোভাবেই অনুকূল সময় মনে করছেন না তারা। কেউ কেউ বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা ভালোভাবে ভেবেচিন্তে সময়টা নির্ধারণ করেননি। কেউবা আবার ড. ইউনূসের কোনও দুরভিসন্ধি আছে কি না, সেই প্রশ্ন তোলছেন।
এরই মধ্যে এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা সব দিক ভালোভাবে বিবেচনা করেই এপ্রিলের প্রথমার্ধকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিয়েছেন। এপ্রিলে নির্বাচনের সময় নির্ধারণের পেছনে তিনটি কারণের কথাও উল্লেখ করেছেন প্রেস সচিব। এগুলো হলো—সংস্কার, বিচার (ট্রায়াল) এবং নির্বাচন।
রোববার (৯ জুন) রাতে গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন তিনি।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের রিপোর্ট আসছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, আরেকটা হচ্ছে ট্রায়াল। জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার করা। এই সময়টায় ভয়ানক রকম একটা হত্যাযজ্ঞ হয়েছে। চার বছর, ছয় বছরের শিশুরাও মারা গেছে। ট্রায়াল হওয়াটা খুবই জরুরি। তবে ট্রায়ালটা এমনভাবে হওয়া উচিত, যেটা ডিউ প্রসেস এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে।
প্রেস সচিব বলেন, এগুলোর জন্য সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি ইলেকশনটা যেন খুবই নিরপেক্ষ, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়, সেটার জন্য আয়োজনের একটা বিষয় আছে। এই প্রতিটি জিনিস লক্ষ করে চিফ অ্যাডভাইজার এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময় দিয়েছেন।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ওই সময়ের আবহাওয়া নির্বাচনের জন্য অনুকূল নয় বলে প্রশ্ন তুলেছেন, এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, আমরা আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে টেম্পারেচার বেশি থাকে; দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সপ্তাহে বেশি। তৃতীয় সপ্তাহ থেকে চতুর্থ সপ্তাহে টেম্পারেচার বেশি থাকে। তারা বলেছেন, প্রথম ১০ দিন টেম্পারেচার মোটামুটি ঠিক থাকে। এই সময়টায় এত হিট ওয়েভ থাকে না যে ইলেকশন করা যাবে না।
কালবৈশাখীর বিষয়ে তিনি বলেন, কালবৈশাখী শব্দটার মধ্যেই বৈশাখ মাস আছে। বৈশাখ মাসেই এটা বেশি হয়। আবহাওয়াবিদদরাও বলেছেন এপ্রিল মাসের প্রথম নয়টা দিন কালবৈশাখী হয়। তা-ও এটা খুব লোকালাইজড হয়, দেশব্যাপী হয় না। এটাও হয় এপ্রিল মাসের সেকেন্ড হাফে বেশি। যখন বৈশাখ মাসটা শুরু হয়ে যায়। সত্যিকার অর্থে এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধটা একটা ফ্যান্টাস্টিক টাইম।