সংসদ নির্বাচন: অবৈধ অস্ত্রসহ একডজন চ্যালেঞ্জ ইসির সামনে
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার রোধ ও নিয়ন্ত্রণসহ একডজন চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে আগামী সোমবার (২০ অক্টোবর) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংলাপে বসছে সংস্থাটি।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ইসির একাধিক কর্মকর্তাদের সংঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা যায়।
ইসি কর্মকর্তা জানান, সংসদ নির্বাচনের আগেই কিভাবে ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আগামী সোমবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরা বৈঠক করব। এর আগে আগামীকাল রোববার (১৯ অক্টোবর) আমরা নিজেরা একটা প্রাক প্রস্তুতিসভা করব। যেখানে এক ডজনের মতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করে তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংলাপে উপস্থাপন করা হবে।
১১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিভাগে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ‘নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে’।
২০ অক্টোবরের এ মত বিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সেনাবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ/কোস্টগার্ড/আনসার ও ভিডিপি/ডিজিএফআই/এনএসআই/এনটিএমসি/র্যাব মহাপরিচালক এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)/সিআইডি’র অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক থাকবেন।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক ডজন বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে সংস্থাটি। এগুলো হলো- ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও নির্বাচনি এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের কর্মকাণ্ডে সমন্বয় সাধন ও সুসংহতকরণ, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার রোধ ও নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচনে বিদেশি সাংবাদিক ও প্রাক পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদান, কৃত্রিম প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও মিথ্যা তথ্যের প্রচারণা রোধে কৌশল নির্ধারণ, পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থাপনা, নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন পরিকল্পনা, অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ, অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের মতামত/পরামর্শের আলোকে শান্তিশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম গ্রহণ, পার্বত্য/দূর্গম এলাকায় নির্বাচনি দ্রব্যাদি পরিবহন এবং ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্য হেলিকপ্টার সহায়তা প্রদান ও ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ।
আমার বার্তা/জেএইচ