একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান থাকবে: আসিফ নজরুল

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, যে আসনে একজন প্রার্থী থাকবে, সেখানে ‘না’ ভোটের বিধান রাখা হয়েছে। ভোটাররা চাইলে একক প্রার্থীর বিপরীতে ‘না’ ভোট দিতে পারবেন। 

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আরপিও আইন চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়।  

আসিফ নজরুল বলেন, আপনাদের ২০১৪ সনের ভুয়া ইলেকশনের স্মৃতি নিশ্চয়ই মনে আছে। ১৫৪ আসনে একজন করে প্রার্থী ছিল। সাজানো নির্বাচন ছিল। এ ধরনের নির্বাচন যেন না হয়, সেজন্য এখন একজন প্রার্থী থাকলে সেখানে যারা ভোটার আছে তারা না ভোট দিতে পারবে। প্রার্থী পছন্দ না হলে না ভোট দেবে। তখন সেখানে আবার নির্বাচন হবে। 

এ সময় তিনি বলেন, যদি নির্বাচনী জোট হয় তাহলে জোটের অংশ হওয়া দলকে তার নিজের প্রতীকে ইলেকশন করতে হবে। যাতে ভোটাররা ক্লিয়ার আইডিয়া পান যে প্রার্থী কোন দলের।

পোস্টাল ব্যালেট প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, যারা ইলেকশনের কাজে ব্যস্ত থাকেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিজাইডিং অফিসার বা অন্যান্য অফিসার যারা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকেন, লাখ লাখ মানুষ নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকেন, উনাদের ভোট দেওয়ার স্কোপ ছিল না। আমরা বিধান করেছি যে, পোস্টাল ব্যালটে উনারা ভোট দেবেন। আমাদের যারা প্রবাসী আছেন, উনারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। ইলেকশন কার্যক্রমে যারা নিয়োজিত থাকবেন, পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন। ভোট কাউন্টিং-এর জায়গায় মিডিয়া থাকতে পারবে, সেটারও বিধান করা হয়েছে।

আইন উপদেষ্টা বলেন, যারা রাজনৈতিক দলকে টাকা পয়সা দেবেন, দান অনুদান বা চাঁদা যেভাবে হোক না কেন, ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি হলে এটা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। যিনি দেবেন তার ট্যাক্স রিটার্নটাও জমা দিতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, আগের আইনের বিধান ছিল যে কোনো একটা নির্বাচনী এলাকায় যদি কোনো ভোট কেন্দ্রে গণ্ডগোল হতো সে ভোট কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করার বিধান ছিল। এখন নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে একটা নির্বাচনী এলাকাতেই এত বেশি অনিয়ম হয়েছে যে পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোট বাতিল করা উচিত, তাহলে ইলেকশন কমিশন সেটা করতে পারবে। সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। 

আমার বার্তা / জেএইচ