হাসিনার রায় ঘিরে আতঙ্ক, ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ প্রভাব নেই সড়কে
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রায়ের প্রতিবাদ এবং আদালতের কার্যক্রম বাতিলের দাবিতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যেও রাজধানীতে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কিছু কম।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালের দিকে রাজধানীর সড়কগুলোতে শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাব দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে গাড়ির সংখ্যা। এর মধ্যে বাড্ডা, মিরপুর, রামপুরা, মালিবাগ, পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় মাঝে মধ্যে গাড়িগুলোতে যানজটে আটকে থাকতেও দেখা গেছে।
গাড়ি চালক ও যাত্রীরা জানান, সাধারণত এই সময়ে ঢাকার সড়কগুলোতে ভিড় থাকে। সেই তুলনায় আজ গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কম। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রভাবিত হয়নি। তবে কিছুটা আতঙ্কে থাকার কথা জানিয়েছেন তারা।
মালিবাগ রেলগেট থেকে নতুনবাজারে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আরিফ হাসান বলেন, ‘সড়কে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় অফিসে সময়মতো পৌঁছাতে পেরেছি। তবে নিরাপত্তা ও শাটডাউনকে কেন্দ্র করে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছিল।’
ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, ‘যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও আমরা সতর্ক ছিলাম। কিছু জায়গায় সাময়িক জট দেখা গেছে। তবে রায়ের কারণে সবার মধ্যে একটা আতঙ্ক ছিল।’
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে টহল জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ সচেতন থাকলে বড় অসুবিধা হবে না।
এদিকে রায় ঘিরে হাইকোর্ট, ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্টের আশপাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকায় সন্দেহভাজনদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মিরপুর এলাকায় রিকশা, বাস ও অটোরিকশার স্বাভাবিক চলাচল করতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থায় আছে পুলিশ।
মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার বেলাল হোসেন নামে একজন দোকানি বলেন, ‘আগের দিনের শাটডাউনে একটু ভয়ে ছিলাম। কে না কে এসে আগুন ধরিয়ে দেয় বা হামলা করে। কিন্তু আজ পুলিশের অবস্থান দেখে আর ভয় লাগছে না। সকাল থেকেই বেচাকেনাও স্বাভাবিক।’
আরিফুল ইসলাম নামের একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, ‘অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতো আজও সকালে বের হয়েছি। ভিড়ের কারণে প্রথম বাসে উঠতে পারিনি। তাই পরের বাসের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।’
মিরপুর-১১ এলাকার বাসিন্দা গোলাম রফিক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আর কোনো সমর্থক নাই। থাকলে তারা আজ শেখ হাসিনার রায়ের দিন রাজপথে নামতো। কিন্তু কেউ রাস্তায় নামছে কিনা জানি না। আর সব কিছু স্বাভাবিকই চলছে। সকালে বাসার জন্য বাজারও করে নিয়ে আসছি।’
আমার বার্তা/জেএইচ
