ভূমি ব্যবস্থাপনায় সেরা কর্মকর্তা নির্বাচিত হলেন অতিরিক্ত সচিব রায়হান

প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

অটোমেটেড ভূমি ব্যবস্থাপনা, ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশন এবং নাগরিকবান্ধব ভূমি কার্যক্রম মূল্যায়নে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ‘বিভাগীয় কমিশনার’ ক্যাটাগরিতে দেশের শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বরিশালের সাবেক বিভাগীয় কমিশনার এবং বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রায়হান কাওছার।

সম্প্রতি তার হাতে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার স্বাক্ষরিত এ সনদপত্রে তার দক্ষতা, নিষ্ঠা ও ভূমি খাত উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করা হয়।

ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালে দায়িত্ব পালনের সময় মো. রায়হান কাওছার ভূমি সেবা সহজীকরণে বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেন। নাগরিকদের ‘এক ঠিকানায় ভূমিসেবা’, অনলাইন নামজারি ও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, মাঠপর্যায়ের টিমকে গতিশীল করা এবং দুর্নীতিবিরোধী মনিটরিং জোরদার করার কারণে তিনি বিশেষভাবে প্রশংসিত হন।

এছাড়া বরিশাল জেলায় অটোমেটেড ভূমি ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে তার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি প্রকল্প সময়ের আগেই সম্পন্ন করা হয়, যা জাতীয় পর্যায়ে নজর কাড়ে। বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি সেবা প্রত্যাশীদের ভোগান্তি কমাতে দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তি, মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় জোরদার এবং সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত সেবা কাঠামো নিশ্চিত করেছিলেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা মনে করেন, ভূমি প্রশাসনকে ডিজিটাল ও দুর্নীতিমুক্ত করার ক্ষেত্রে রায়হান কাওছারের অবদান দেশের অন্যান্য বিভাগেও রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে।

তার এই অর্জনকে সরকারের ভূমি সংস্কার উদ্যোগের একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সম্মাননা পাওয়ার সময় জানতে চাইলে মো. রায়হান কাওছার বলেন, এ অর্জন শুধু আমার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, মাঠ প্রশাসনের প্রতিটি সহকর্মী, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং জনগণের সহযোগিতারই ফল। ভূমি সেবা আধুনিক ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে আমরা যে ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ করেছি, তা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। জনগণের দোরগোড়ায় দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত ভূমি সেবা পৌঁছে দেওয়া এটাই ছিল আমার মূল লক্ষ্য এবং এই পথচলায় কোনোদিনই আমি আপস করিনি।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এই সম্মান আমাকে আরও দায়িত্ববান হতে উৎসাহিত করবে। দেশের উন্নয়ন ও ভূমি খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমি আগের মতোই নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে যেতে চাই।

আমার বার্তা/এল/এমই