রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আর দেরি করা উচিত নয়: চীনের রাষ্ট্রদূত
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কেমন সময় লাগবে সেই সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা নেই, আমি কোনও ধরণের গ্যারান্টি দিতে পারি না। এটি বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে এবং আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা সমর্থিত, আমাদের একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। আশা করি, এটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটবে। রোহিঙ্গারা আট বছর ধরে এখানে রয়েছে। তাই এই প্রক্রিয়ায় আর দেরি করা উচিত নয়।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জন্য ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা বিষয়ে এক সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। নিরাপদে স্বেচ্ছায় মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য অনেক শর্ত এবং আশ্বাস প্রয়োজন। সুতরাং এখানে চীন, বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিবেশী দেশগুলো, আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোসহ সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটি সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের একটি যৌথ প্রচেষ্টা।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, অবশ্যই প্রত্যাবাসনই চূড়ান্ত সমাধান। এটা শুধু চীনের দৃষ্টিভঙ্গি নয়, অন্যান্য দেশ এবং বাংলাদেশেরও দৃষ্টিভঙ্গি এরকম। আমি বিশ্বাস করি, আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধানও দেখতে পাচ্ছি। এটা শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার বিষয় নয়। এটি আঞ্চলিক শান্তির স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। আমাদের একটি ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা রয়েছে, তাই সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তাই তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমি একসঙ্গে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধ বলে মনে করি। আমরা প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করছি এবং প্রত্যাবাসনের চূড়ান্ত অর্জনের জন্য অনুকূল পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করতে আমরা যা যা করতে পারি তা করবো।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সবাই প্রত্যাবাসন দেখতে চায়, তবে ব্যাপারটি হলো আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। এখন আরাকান রাজ্যগুলোর স্থল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আসলে এখন এই প্রক্রিয়াটি করা বেশ অবাস্তব। সুতরাং আমাদের অনেক প্রচেষ্টা দরকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য। বাংলাদেশ বা রাখাইনে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমাদের ইউএন এজেন্সি এবং দাতা দরকার এবং প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য একটি সমাধান খুঁজে বের করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সুতরাং এটি আমার সাধারণ দায়িত্ব এবং সব স্টেকহোল্ডারদের একটি সাধারণ লক্ষ্য। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কিছুটা সময় লাগবে, এটা আমার পর্যবেক্ষণ।
আমার বার্তা/এমই
