ধর্মভিত্তিক বিভাজনের রাজনীতি সমাজকে দুর্বল করবে: দেবপ্রিয়

প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:৫৩ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

ধর্মভিত্তিক বিভাজনের রাজনীতি দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তার জন্য বিপদজনক বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ধর্মভিত্তিক বা জাতিগত পরিচয়ের রাজনীতি দেশের সার্বভৌমত্ব, সামাজিক সংহতি এবং অর্থনীতি দুর্বল করতে পারে। বৈশ্বিক অবস্থান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কও এর প্রভাবের বাইরে নয়।

শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে ‘সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার: বর্তমান বাস্তবতা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক গোলটেবিল সংলাপে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশে নিরাপত্তার অভাব এখন শুধু ধর্মীয় সংখ্যালঘু বা জাতিগত সংখ্যালঘুর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি নারী, মাজার ও সুফি চিন্তাবিদ, ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটি, আহমদিয়া সম্প্রদায়সহ অনেকের জন্য প্রযোজ্য।

তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবনে বিপত্তি সৃষ্টি করতে পারে। খ্রিষ্টানদের বড়দিনের উৎসবে ভারতের বিভিন্ন স্থানে যে অত্যাচার হয়েছে, তা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোকে একই ধরনের আচরণ করতে উৎসাহিত করতে পারে।

ড. ভট্টাচার্য বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে নতুন একতাবোধকে ধারণ করা জরুরি। তা না হলে স্বাধীনতা ও দেশপ্রেম অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচনপরবর্তী পদক্ষেপে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়া শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং দেশের নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপের গুরুত্বও তুলে ধরেন।

সংলাপে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী সারা হোসেন, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিমচন্দ্র ভৌমিক, আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, সাংবাদিক এম এ আজিজ, বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার রায়, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হেমন্ত আই কোড়াইয়া, পরিষদের সদস্য ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রঞ্জন কর্মকার।


আমার বার্তা/এমই