বিশ্ব তুলা দিবস ২০২৫
আমাদের জীবনের বস্ত্র তুলা
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
ড. মো. গাজী গোলাম মর্তুজা:

“আমাদের জীবনের বস্ত্র তুলা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিগত কয়েক বছরের মত এ বছর ও পালিত হচ্ছে বিশ্ব তুলা দিবস ২০২৫। বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হল, তুলা এবং তুলা-সম্পর্কিত পণ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে তুলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরা এবং তুলার আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা এবং উন্নয়নশীল এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলিকে তুলা শিল্পের সাপ্লাই চেইন থেকে উপকৃত হতে সক্ষম করা। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো হলো খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা। সভ্যতার দিক থেকে বিবেচনায় বস্ত্রই হচ্ছে আমাদের প্রথম মৌলিক চাহিদা। এই বস্ত্র শিল্পের মূল ও প্রধান উপাদান তুলা।
এই বছর জাতিসংঘ (UN) ইতালির রোমে অবস্থিত FAO সদর দপ্তরে বিশ্ব তুলা দিবস উদযাপন করবে। এই অনুষ্ঠানে এই খাতের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে। উৎপাদনশীলতা কীভাবে উন্নত করা যায়, সমগ্র শৃঙ্খলে মূল্য সংযোজনের কৌশলগুলি অন্বেষণ করা যায় এবং এই খাতের টেকসই বাণিজ্যের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
অতএব, বিশ্ব তুলা দিবস ২০২৫ অর্থনৈতিক গুরুত্বের দিক থেকে বিশ্ব এবং বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত একটি আঁশ জাতীয় ফসল হিসেবে চাষ করা হয়, তবে লিন্টের পরে, জিনিং দ্বারা লম্বা বাঁকানো এককোষী লোম অপসারণ করা হয়, বীজ থেকে ভোজ্য তেল এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ পশু খাদ্য আহরণ করা যায়। ১০০ টিরও বেশি দেশ কাঁচা তুলার রপ্তানি ও আমদানির সাথে জড়িত। এটি খাদ্য, পশুখাদ্য, ফাইবার এবং জ্বালানি সরবরাহ করে। এটি খামার, জিনিং কারখানা, টেক্সটাইল মিল, ভোজ্যতেল এবং সাবান শিল্প ইত্যাদিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে।
প্রথমে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বিশ্ব তুলা দিবসের সূচনা করে, যা সাব-সাহারান আফ্রিকার চারটি তুলা উৎপাদক দেশ - বেনিন, বুরকিনা ফাসো, চাদ এবং মালির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর ৩০শে আগস্ট ২০২১ তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৭ অক্টোবরকে বিশ্ব তুলা দিবস হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্ব তুলা দিবস ঘোষণা করে জাতিসংঘের প্রস্তাব (A/RES/75/318) বিশ্বজুড়ে এর বিস্তৃত অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয় এবং স্বীকৃতি দেয়। সেই সময় থেকে, প্রতি বছর তুলা উৎপাদনকারী এবং গ্রাহক দেশগুলি বিশ্ব তুলা দিবস পালন করে। এখন জাতিসংঘ (UN) আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিশ্ব তুলা দিবস পালন করছে। এই দুর্দান্ত সুযোগটি স্বল্পোন্নত দেশগুলির তুলা এবং তুলা-সম্পর্কিত পণ্যের জন্য বাজার অ্যাক্সেসের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে, টেকসই বাণিজ্য নীতিগুলিকে উৎসাহিত করে এবং তুলার মূল্য শৃঙ্খলের প্রতিটি ধাপ থেকে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে আরও বেশি উপকৃত করতে সক্ষম করে।
বর্তমানে বস্ত্র এবং গার্মেন্টস খাত বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। বাংলাদেশে বস্ত্র খাতের ৪৫০ টি সুতাকলের জন্য বছরে প্রায় ৮০-৮৫ লক্ষ বেল আঁশ তুলার প্রয়োজন হয়, যার সিংহভাগ বিদেশ থেকে আমদানী করে মেটানো হচ্ছে এবং এই চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পরিমান তুলা আমদানী করতে প্রতিবছর প্রায় ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে মোট চাহিদার মাত্র তিন ভাগ পূরণ করতে পারে, বাকী ৯৭ ভাগ তুলা বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। ৫০০০ গার্মেন্টস ও তৈরী পোশাকের অন্যান্য খাতে প্রায় ৫০ লক্ষ লোক সরাসরি জড়িত। এসব বিবেচনায় বিশ্ব তুলা দিবস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৯.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেন বস্ত্রখাত থেকে। তাছাড়া আমাদের বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের ৮১.৪৯ ভাগই আসে তৈরী পোশাক খাত থেকে। এক টন তুলা গড়ে পাঁচ জনকে প্রায় বছরব্যাপী কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। কৃষি ফসলের মধ্যে তুলাই একমাত্র ফসল, যা থেকে খাদ্য ও বস্ত্র দুই ই পাওয়া যায়। বীজতুলা থেকে প্রথমত আমরা আঁশ পেয়ে থাকি, এছাড়া উপজাত হিসেবে বিশ্বে প্রতি বছর পাঁচ কোটি টনেরও বেশি তুলাবীজ উৎপাদিত হয়। তুলাবীজ থেকে আমরা ভোজ্য তেল ও খৈল পেয়ে থাকি। খৈল গবাদি পশু ও মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এ জন্য বাংলাদেশে অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিচারে এবং উৎপাদন থেকে ব্যবহারে তুলা সকলের জন্য উপযোগী ও টেকসই করার জন্য বিশ্ব তুলা দিবস ২০২৫ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বে তুলা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অর্থকরী ফসল। প্রতি বছর ৩৩-৩৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও নাতিশীতোষ্ঞ অঞ্চলের সত্তরটিরও বেশি দেশের তুলা চাষ করা হয়, যা সমস্ত পৃথিবীর আবাদকৃত জমির ২.৫ শতাংশ। ১০০ মিলিয়নেরও বেশি পরিবার সরাসরি তুলা উৎপাদনের সাথে জড়িত এবং ২৫-২৬ মিলিয়ন টন কাঁচা তুলা উৎপাদন করে, যেখানে প্রতি হেক্টরে গড়ে প্রায় ৮০০ কেজি আঁশতুলা উৎপাদিত হয়। কৃষি ফসলের মধ্যে অনন্য হলো তুলা। বীজতুলা থেকে প্রথমত আমরা আঁশ পেয়ে থাকি, এছাড়া উপজাত হিসেবে বিশ্বে প্রতি বছর পাঁচ কোটি টনেরও বেশি তুলাবীজ উৎপাদিত হয়। তুলাবীজ থেকে আমরা ভোজ্য তেল ও খৈল পেয়ে থাকি। খৈল গবাদি পশু ও মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
১০০ টিরও বেশি দেশ তুলা আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে জড়িত। তুলা উৎপাদন, জিনিং, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, ভোজ্যতেল এবং সাবান শিল্প ইত্যাদির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ লোকের জীবিকা নির্বাহ করে। তুলা বিশ্বের অন্যতম টেক্সটাইল তন্তু এবং তুলা অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রাকৃতিক তন্তু তুলা ব্যবহার দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এক সময় পঞ্চাশ ভাগের অধিক প্রকৃতিক তন্তু তুলার ব্যবহার ছিল, বর্তমানে তা ২৭ ভাগে নেমে এসেছে। এই কারণে, প্রকৃতিক তন্তুর গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০০৯ সালকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক প্রাকৃতিক তন্তুবছর ঘোষণা করেছিল।
পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক তন্তু তুলার গুরুত্ব বিবেচনা করে ও বিশ্ব তুলা দিবস প্রতিষ্ঠার জন্য তুলা উৎপাদনকারী চার দেশ-বেনিন, বুরকিনা ফাসো, চাদ এবং মালি আহবানে ০৭ অক্টোবর, ২০১৯ প্রথমবারের মত ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (WTO) জেনেভা সদর দফতরে বিশ্ব তুলা দিবস ২০১৯ উৎযাপিত হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৩০ আগস্ট, ২০২১ আনুষ্ঠানিকভাবে ৭ অক্টোবরকে বিশ্ব তুলা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বিশ্বজুড়ে তুলার বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাবকে স্বীকার করে এবং স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘ বিশ্ব তুলা দিবস ঘোষণা করে এবং এটি জাতিসংঘের স্থায়ী ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এর পর থেকে প্রতিবছর ৭ অক্টোবর, তুলার গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার জন্য বিশ্ব তুলা দিবস পালন করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক তন্তু হিসাবে বিশ্বজুড়ে তুলার উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী এবং ব্যবহারকারী কিভাবে উপকৃত হবে, তা তুলে ধরা হবে। বিশ্ব তুলা দিবস তুলার উপর ইতিবাচক প্রভাব প্রদর্শন করার একটি বিরাট সুযোগ।
বিশ্ব তুলা দিবস ২০২৫ এর উদ্দেশ্যগুলি হলো, তুলার ব্যবহার ও চাহিদা বৃদ্ধি করা এবং তুলার উপকারিতা এবং মূল্য সম্পর্কে জনগনকে অবহিত করা, বিশ্বজুড়ে তুলার জন্য ইতিবাচক মিডিয়া কভারেজ তৈরি করা, তুলার গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির সরকারী প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়া, ডাব্লুটিও এবং ইউএনকে জড়িত করা এবং বিশ্ব তুলা দিবসটিকে আনুষ্ঠানিক ইউএন ক্যালেন্ডারে যুক্ত করা, ব্র্যান্ড এবং খুচরা বিক্রেতাদের তাদের স্টোরগুলিতে বা তাদের ওয়েবসাইটে তুলার ব্যাপক প্রচার করা।
বিশ্ব তুলা দিবস ২০২৫-এর মধ্য দিয়ে তুলা উৎপাদন, জিনিং, স্পিনিং, গার্মেন্টস, ব্র্যান্ড বা খুচরা বিক্রেতা, গ্রাহক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, মিডিয়া কর্মী, এনজিও এবং সরকারী কর্তৃপক্ষের মতো প্রতিটি অংশীজন গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে । উৎপাদকরা তুলা উৎপাদন করে, জিনিং স্পিনিং ও গার্মেন্টসে তুলা ব্যবহার করে এবং তুলার পণ্য উৎপাদন করে, ব্র্যান্ড বা খুচরা বিক্রেতা তুলা পছন্দের সিদ্ধান্তে প্রভাবিত করে, সবশেষে গ্রাহক বা ব্যবহারকারী তুলার জন্য চাহিদা এবং পছন্দ বৃদ্ধি করে। শিক্ষাবিদরা ইতিবাচক ধারণা অর্জনের জন্য তুলা সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করেন, গবেষকরা তুলা শিল্পে ক্রমাগত উন্নতি এবং নতুনত্ব আনতে গবেষণার জন্য অর্থায়নকে উৎসাহিত করেন। মিডিয়া তুলা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারনা তৈরীতে সহায়তা করে, এনজিওগুলি ইতিবাচক অংশীদারিত্ব করে এবং সর্বশেষে তবে সরকারী কর্তৃপক্ষ তুলা উৎপাদন এবং বাণিজ্য নীতি তৈরীতে সহায়তা করেন।
বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও নাতিশীতোষ্ঞ অঞ্চলের জন্য তুলা ফসল পুরোপুরি উপযুক্ত। সামগ্রিকভাবে, তুলা বিশ্বের আবাদযোগ্য জমির মাত্র ২.৫ শতাংশ দখল করে এবং এখনও বিশ্বের টেক্সটাইল সেক্টরের ২৭ শতাংশ পূরণ করে।
১০০ টিরও বেশি দেশ তুলা আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে জড়িত। তুলা উৎপাদন, জিনিং, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, ভোজ্যতেল এবং সাবান শিল্প ইত্যাদির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ লোকের জীবিকা নির্বাহ করে। তুলা বিশ্বের অন্যতম টেক্সটাইল তন্তু এবং তুলা অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক তুলা থেকে উৎপাদিত পোশাক ব্যবহার করছে এবং আগামীতে তুলার চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এই চাহিদা বৃদ্ধির ফলে টেকসই তুলার প্রয়োজন বাড়বে। আমাদের পরিবেশকে ঠিক রেখে তুলা উৎপাদন করতে হবে। বিশ্বব্যাপী প্রচলিত তুলা উৎপাদনে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। তাই টেকসই তুলা উৎপাদন এই সমস্যার সবচেয়ে ভালো সমাধান। বিপজ্জনক রাসায়নিকের ব্যবহার হ্রাস করে ও কম পানি ব্যবহার করে টেকসই তুলা উৎপাদন করতে হবে। এতে কৃষকের আয় বৃদ্ধি পাবে ও দারিদ্র্য হ্রাস পাবে। বাংলাদেশে ও কটন কানেক্ট এর সহযোগিতায় টেকসই তুলা উৎপাদন শুরু হয়েছে।
সরকার এবং অন্যান্য নীতিনির্ধারকদের তুলা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ইতিবাচক সহায়তা গড়ে তোলা উচিত। বিশ্ব তুলা দিবস, ২০২৫ হল তুলার উপর ইতিবাচক প্রভাব প্রদর্শনের একটি সুযোগ, যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদযাপনে যোগদানের জন্য রাজি করানো। বিশ্বের ৭৫টিরও বেশি দেশের ১০ কোটিরও বেশি পরিবার তুলা থেকে উপকৃত হওয়ায় এটি বিভিন্ন দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্ব তুলা দিবস তুলা-সম্পর্কিত কার্যক্রম এবং পণ্য প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে কাজ করে। তাই, বিশ্ব তুলা দিবস ২০২৫ হল তুলা খাতের টেকসই বৃদ্ধির জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ এবং এটিকে বিশ্বব্যাপী এজেন্ডার সামনে নিয়ে আসার একটি চমৎকার সুযোগ।
লেখক : মৃত্তিকা উর্বরতা ও পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা।
আমার বার্তা/ড. মো. গাজী গোলাম মর্তুজা/এমই