বাজার সিন্ডিকেটের দায় বিরোধী দলের ওপর চাপাতে চায় সরকার

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে সরকার তাদেরকে আরেক দফা নিপীড়ন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

সোমবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মন্ত্র আয়োজিত ‘সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য ও বাজারে অব্যাহত দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে প্রতিবাদী অবস্থান’ কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, মুক্তবাজারের কথা বলে সরকার নিজের লোক দিয়ে বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য করছে। পোষ্য কোম্পানির মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে নিজেরাই ভাগবাটোয়ারা করছে। তারা নিজেরাই যেহেতু সিন্ডিকেট, এখন বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়ে আরেক দফা বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন করতে চায় তারা।

তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে দেশে আমদানি উন্মুক্ত করতে হবে যেন মাত্র কয়েকটি কোম্পানি সমস্ত আমদানি করতে না পারে।

নির্বাচনে ভারতের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি দেওয়া আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা জানতে চাই... ভারতকে কী কী দাসখত দিয়েছে, বাংলাদেশকে কী পরিমাণ বিক্রি করেছে?

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সিন্ডিকেটের মধ্যে বিএনপি আছে কি না খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু আমি বলতে চাই, দেশের মাত্র সাত-আটজন ব্যবসায়ী সব আমদানি রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা কারা সবাই জানে। দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর সিন্ডিকেটে কারা কারা আছে, সরকার জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চ তাদের নাম প্রকাশ করবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, দেশে আইয়ামে জাহেলিয়াত চলছে, ডাকাতদের শাসন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক ও বাজারে নৈরাজ্য চলছে। যারা সিন্ডিকেট করছে, তারা সরকারের ভেতরেই আছে। সংসদ এবং সরকার মূলত সিন্ডিকেটের দখলে। আইনের শাসনকে বিদায় দিয়ে বর্তমানে দেশে এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। এই সরকার যতদিন থাকবে, মানুষের দুর্ভোগ ততো বাড়তে থাকবে।

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ সপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নি শিখা জামালী ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুসহ অনেকে।


আমার বার্তা/এমই