ই-পেপার বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যেকোনও সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বিএনপি: মির্জা ফখরুল

আমার বার্তা অনলাইন:
১০ জুন ২০২৫, ১৯:৪১
গুলশানে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

যেকোনো সময়েই নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত আছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১০ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলের এই প্রস্তুতির কথা জানান মির্জা ফখরুল।

চোখের অস্ত্রোচারের জন্য থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব। সেখানে সফল অস্ত্রোপচারের পর দেশে ফেরেন ঈদের আগের রাতে। পরের দিন ঈদের নামাজ শেষে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের পরে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন বিএনপি মহাসচিব। রাজনীতি, নির্বাচন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক, নির্বাচনে শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড, সংস্কার কমিশনসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘সজ্জন ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, আমরা তো বলেছি, আপনি যদি ইলেকশন কালকে করতে পারেন, আমরা কালকেই রেডি। বিএনপি নির্বাচনের দল। বিএনপি অলওয়েজ রেডি ফর ইলেকশন। কারণ এটা (বিএনপি) নির্বাচনের দল, নির্বাচন করেই বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা তো বিপ্লবী দল নই। আমাদের পরিষ্কার কথা, আমরা কোনো বিপ্লবী দল নই। আমরা নির্বাচন করেই জনগনের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাই। তবে যখন সবাই চাইবে, একমত হবে, তখন নির্বাচন হবে। অসুবিধা নাই।

>> নির্বাচন ডিসেম্বরেই সম্ভব

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব এবং এটা খুবই সম্ভব। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন এই কথা। আমি বিশ্বাস করি, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া সম্ভব।

জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে এপ্রিলে নির্বাচন হতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ে বিএনপির বক্তব্য কী- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে, ডেমোক্রেসির মূল কথা হচ্ছে আপনি আমার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করবেন, আমি আপনার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করব। কিন্তু তাই বলে আমি মনে করব না যে, আপনি আমার শত্রু, তাই বলে আমি মনে করব না যে, আপনি দেশদ্রোহী হয়ে গেছেন বা গণতন্ত্রবিরোধী হয়ে গেছেন। আমি মনে করব, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমার দায়িত্ব হচ্ছে আপনার মতামত প্রকাশের অধিকারকে নিশ্চিত করা। দ্যাট ইজ দ্য রেসপনসিবিলিটি অ্যাজ এ ডেমোক্র্যাট। এই জায়গাটা অনেককে বোঝানো সম্ভব হয় না। ডেমোক্রেসিটা আসলে আপনাকে একটু চর্চা করতে হবে, কালচারের মধ্যে আনতে হবে। বাসায়, পরিবারে, সমাজে- সব জায়গায় আনতে হবে। সেটা আমরা করতে পারিনি। ওই জায়গাটা শুরু করা যাক। লেট আস স্টার্ট।

>> এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান কী হবে

মির্জা ফখরুল বলেন, দেখুন এই ব্যাপারে আমরা দলগতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা আশা করছি, সরকার এটা বিবেচনা করবে। কিছুটা বলা যেতে পারে বাস্তবতার প্রেক্ষিতেই তারা বিবেচনা করবেন।

নির্বাচনের সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সময়টা(এপ্রিল) তো ঠিক না। আমি প্রথম দিন বলেছি, টাইম ইজ নট গুড ফর ইলেকশন। এপ্রিল মাস, রোজার মাস। রোজ শেষ হবে, ঈদ শেষ হবে। এর কয়েকদিন পরে নির্বাচন। আপনি ভাবেন রোজার মাসটায় প্রার্থীদের কী অবস্থা হবে, রাজনৈতিক কর্মীদের কী অবস্থা হবে? আমি নিজেই এখন চিন্তিত যে, প্রত্যেকদিন আমাকে ইফতার পার্টি করতে হবে। ইটস নো জোক। এটা বিরাট ব্যাপার। প্রার্থীদের ব্যয় দ্বিগুন হয়ে যাবে এবং এই ক্ষেত্রে আমরা চিৎকার করি অর্থ ব্যয় কমাতে হবে। ওই সময় হলে তো ব্যয় বাড়বে।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, ওই সময়ে প্রচণ্ড গরম থাকবে। আবহাওয়ার ব্যাপার, ঝড়-বৃষ্টি আছে। দিনের বেলা আমাদের যে নির্বাচনী কালচার- জনসভা করতে হয় সেই জনসভায় লোকজন আনাটাই মুশকিল হবে। রোদের মধ্যে কে আসবে? রাত্রিবেলা মিটিং করতে হবে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ সময়ে ডিসেম্বর-নভেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। দুইবার বোধহয় হয়েছে ভিন্ন সময়ে। দুই ইলেকশনই ঝামেলা ছিল।

সংস্কার চাই না, নির্বাচন চাই- এটা আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারপরেও আমি মনে করি, নির্বাচন বেশি প্রয়োজন। অনেকে আবার আমাকে ভুল বুঝবেন। এর কোনো যুক্তি নাই। আমরা তো বহু আাগেই সংস্কারের কথা বলেছি। বহু আগেই বলেছি যে, এই ব্যবস্থা চলবে না। সেই ব্যবস্থা পরিবর্তনে ম্যাডাম খালেদা জিয়া এই রুমে বসে ভিশন-২০৩০ তৈরি করেছেন আলাপ-আলোচনা-বির্তক করে করে। তারপরে আমরা ২৭ দফা দিয়েছিলাম এবং সবশেষে যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক শরিকদের সঙ্গে কথা বলে ৩১ দফা দিয়েছি।

>> ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের মধ্যে দিয়ে ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি খুবই ইতিবাচক মানুষ এবং আমি সবসময় পজিটিভ দিকটাই দেখতে চাই, ব্রাইট দিকটা দেখতে চাই। তাতে করে আমি মনে করি এই একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এরকম অনেক সুযোগ তৈরি হতে পারে। সেই সুযোগগুলো তৈরি করার সুযোগ এসেছে আমাদের এই দুই নেতার। দিস ইজ এ প্রোপার টাইম, প্রোপার ভেন্যু, প্রোপার প্লেস যেটাতে নতুন একটা দিগন্তের উন্মোচন হতে পারে আর কি।

>> সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা বিশেষ মুহুর্তে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একথা বললে অস্বীকার করা হবে না যে, আমরাই দায়িত্ব দিয়েছি। কিন্তু রাজনৈতিক দিক থেকে তাদের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট নয়। তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই অত্যন্ত অভিজ্ঞ মানুষ, পন্ডিত লোক, উইজডম সব আছে। কিন্তু পলিটিক্যাল উইজডম যে পুরোপুরি আছে সেটা বলা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, বাট অ্যাট দ্য সেইম টাইম দে হ্যাভ গেট দ্য সিনসিয়ারিটি। তাদের আন্তরিকতার অভাব আছে বলে আমার মনে হয় না। তারা কাজ করতে চান, কাজ করছেন। দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন হতে পারে। তবে এখানে একটা ইউনিক চাপ আছে। চাপটা হচ্ছে, আপনারা জানেন যে, এখানে নতুন নতুন রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে, নতুন নতুন রাজনৈতিক চিন্তা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করে একটা জায়গায় নিয়ে আসা- এটাও বড় একটা চ্যালেঞ্জিং জব। সেই ক্ষেত্রে আমি মনে করি, একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে দুই নেতার মিটিয়ের মধ্য দিয়ে একটা বড় সমাধান হয়ে যেতে পারে। একেবারে মুহুর্তের মধ্যে বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, ১৫ বছরের একটা ফ্যাসিস্ট শাসক আওয়ামী লীগ সব প্রতিষ্ঠান ধবংস করে দিয়েছে। সেই ইন্সটিটিউশনগুলোকে নতুন করে বিল্ডআপ করা ছেলেখেলা নয়। আমি এই কথাটা বার বার বলার চেষ্টা করি, এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ জাতির জন্য। সবাই আশা করেন যে, এটা ঠিক হচ্ছে না, ওটা ঠিক হচ্ছে না। এত সোজা? একটা রাষ্ট্রকে, একটা যন্ত্রকে একেবারে ধবংস করে ফেলা হয়েছে। এখান থেকে আবার নতুন করে সুস্থ ভালো জিনিস নিয়ে আসবেন এটা এত সহজে হয় না। ইট টেকস টাইম। ভালো কথা হচ্ছে যে, সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোও চেষ্টা করছে। আমি কাউকেই অভিযুক্ত করতে চাই না, কারো বিরুদ্ধে বলতে চাই না। আমি মনে করি এভরিবডি ইজ ট্রাইং দেয়ার বেস্ট। হয়তো পথ ভিন্ন, চিন্তা-ভাবনা ভিন্ন হতে পারে, কথা-বার্তা ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু সবার চেষ্টা আছে।

>> জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মনে করি, এই সময়টা গণতন্ত্র উত্তরণের যে কালটা, ট্রান্সজিশনটা এটাতে সবার দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। প্রত্যেকটা কথা আমাদের সাবধানে বলা উচিত। প্রত্যেকটা কথা এমনভাবে আমরা বলব, যে কথাগুলো এই যে একটা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার যে যাত্রা এটা যেন বিঘ্নিত না হয়, ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। জাতীয় ঐক্য এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি তখনও বলেছি জাতীয় ঐক্যের কথা। এখনো আমরা বলছি যে, জাতীয় ঐক্য আমাদের সামনে দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

>> টিক মার্ক দিয়ে কি রাজনীতি হয়?

মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো তারা যেভাবে জানতে চেয়েছে- অনেকটা স্কুলের টিক মার্ক দিয়ে। টিক মার্ক দিয়ে কি রাজনীতি হয় নাকি। এটা একটা অসম্ভব ব্যাপার। আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী পরপর দুইবারের বেশি কেউ হতে পারবেন না। আবার বলেছি যে, একবছর বাদ দিয়ে আরেকবার হতে পারবেন। অর্থাৎ থ্রি টাইমস। আমরা তো একথা বলিনি যে, তারপরেও হতে পারবেন। আমরা বলছি যে, দুইটা হাউজ দরকার। ইটস এ মেজর রিফর্ম। আমরা বহু আগে থেকে বলেছি যে, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট দরকার হবে। তখন তো সব উড়িয়ে দিয়েছে ড্যাম ইস্যু, অমুক ইস্যু, তমুক ইস্যু বলে। এমনকি বিদেশিরা আমাকে নিজে বলেছে যে, গুড টক অ্যাবাউট দিস ইস্যু। এটা প্রমাণ হয়েছে যে, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট ছাড়া বাংলাদেশে আপাতত একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।

>> বিএনপি ইজ রিয়েলিটি

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেমন জানি একটা নেগেটিভ প্রচারণা বিএনপির বিরুদ্ধে চলছে। কিন্তু কারণটা কী? আমরা তো নতুন নতুন সংস্কারে কাজ করেছি, পরিবর্তন আনার কাজ করেছি। কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা এখনো বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলেই যাচ্ছেন। বাস্তবতা হচ্ছে যে, বিএনপি ইজ এ রিয়েলিটি। বিএনপি এমন একটা দল, একে যতকিছুই বলুক তাকে সহজেই শেষ করা যায় না, কখনোই যায়নি। বিএনপির জন্মের পর থেকে অনেকবার চেষ্টা হয়েছে। তার বড় প্রমাণ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া। ১৫ বছরে তো আমরা বিলীন হয়ে গিয়েছিলাম প্রায়। ভাবছে যে, বিএনপি শেষ হয়ে যাবে, বিএনপি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাবে। কত লেখালেখি কত কিছু, পারে নাই তো। সব নেতাকর্মীদের ভেড়ার পালের মতো জেলে ঢুকিয়েছে, অত্যাচার করেছে, ছাত্র-যুবকদের নখ তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে, গুম করেছে। তারপরেও তো নিতে পারেনি। বিএনপি ইজ দেয়ার, ভেরি মাচ দেয়ার।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে ‘জাতিকে বিভক্ত’ না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটা বিষয়ে জাতি ইউনাইটেড যে, আমরা গণতন্ত্র চাই, রেস্ট্রোরেশন অব ডেমোক্রেসি চাই, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই, আমার ভোটটা আমি দিতে চাই। ভোট দিয়ে আমি প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চাই। সংস্কার চাই। অযথা ডিভিশনটা করবেন না। আমরা যদি ডিভিশনটা করি তাহলে আমাদের জাতির যারা শত্রু বাইরে যারা আছে তারা এই সুযোগটা বেশি করে পাবে।

>> কেয়ারটেকার সরকার কেন দরকার

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, তত্ত্বাবধায়ক বা কেয়ারটেকার ব্যবস্থা বাতিলের পর ম্যাডাম সেদিনই বলেছিলেন যে, অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার একটা বীজ চিরস্থায়ীভাবে রাজনীতিতে বপন করা হলো। আমরাও একইভাবে সেই কথা বলে গেছি। কেয়ারটেকার কেন দরকার? কারণ এখানে উই ডোন্ট ট্রাস্ট ইচ আদার। আমরা একটা দল আরেকটা দলকে বিশ্বাস করি না। যে যখন আমরা ক্ষমতায় যাই, দখলে রাখার চেষ্টা করি। সেজন্যেই ওই সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার থাকাটাই একটা সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের একমাত্র উপায়। তখন তো ওরা (পশ্চিমারা) উড়িয়ে দিয়েছে। এখন তো দেখছে দিস ইজ ট্রু। ওরাই এখন বলছে যে, এটার দরকার হবে। এখন সব রাজনৈতিক দল বলছে, লাগবে এটা।

নির্বাচনের সময় চলে আসায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থায় চলে যাওয়া উচিত কি না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম কথাটা, ইলেকশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য দেয়ার শুড বি আ কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট। ইলেকশনটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল সমালোচনাও করেছে যে, আমি এখানে ১/১১ আনতে চাই। এটা হয়েছে অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে। আমি যে কথাগুলো বলেছি, অভিজ্ঞতার আলোকে। আপনাদের মনে আছে, ৫ আগস্টের পরে আমরা নয়া পল্টনে একটা জনসমাবেশে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তুলেছিলাম। এটা নিয়ে আমাকে যথেষ্ট সমালোচনা ফেইস করতে হয়েছে যে, এখন বিএনপি নির্বাচন চায়, অমুক চায়-তমুক চায়। এটা থেকে প্রমাণিত হচ্ছে, ওই নির্বাচনটা আমরা দ্রুত চাই কী কারণে? একটা ইলেকটেড সরকার দরকার।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কিছুক্ষন আগে আমার বাসায় কয়েকজন ইনভেস্টর ও বড় ব্যবসায়ী এসেছিলেন তাদের কষ্টের কথা বলতে। কষ্টের কথা কী? তারা কোনো দিকনির্দেশনা পাচ্ছেন না। তারা কী করবেন বুঝতে পারছেন না এবং ব্যাংকগুলো তাদের সঙ্গে সেইভাবে সহযোগিতাও করছে না। এই জিনিসগুলো খুবই অ্যালার্মিং। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যদি স্থবির হয়ে পড়ে তাহলে কিন্তু আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হব। এর কারণটা হচ্ছে, দেয়ার ইজ নো ইলেকটেড গভর্নমেন্ট এবং বিদেশিরা বলছে যে, নির্বাচিত সরকার না থাকলে আমরা ইনভেস্টমেন্ট করব না। এগুলো হচ্ছে বাস্তবতা।

>> বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব বিএনপির মতো করেই

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ বিএনপির সংস্কার প্রস্তাব বিএনপির মতো করে দিয়েছে। বিএনপি যা বিশ্বাস করে, যেগুলো তার আদর্শ, যেগুলো আগেই ঘোষণা করেছে… আমাদের ৩১ দফা অভ্যুত্থানের অনেক আগেই ঘোষণা করা। সুতরাং দ্যাট ইজ মাই পয়েন্ট।”

‘‘ তবে আলোচনা করে দুই-এক জায়গা ছাড়-টাড় দিতে হয় সেগুলোতে তো আমরা দিচ্ছি। আমরা তো পরিস্কার বলেছি, যেগুলোতে ঐক্যমত্য হয় সেগুলো তোমরা করো, যেগুলোতে ঐক্যমত্য হবে না সেগুলো সংসদে চলে আসবে ইলেকশন মেনিফেস্টো হিসেবে… পিপলস এক্সসেপ্ট করবে হয়ে যাবে.. কঠিন ব্যাপার তো না।”

>> সমঝোতায় শরিকদের আসন ছাড়বে বিএনপি

শরিকদের কিছু কিছু আসন বিএনপি ছেড়ে দেবে কি না এরকম প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা সংসদীয় রাজনীতিতে খুবই স্বাভাবিক, এটা ন্যাচারাল। এটা হওয়া উচিত। আমরা আগে থেকে কমিটেড যে, নির্বাচনের পর একটা জাতীয় সরকার করব। এটা পরের ব্যাপার। যদি আলোচনা হয় হবে। রাজনীতিতে পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসিতে শেষ কথা বলতে কিছু নাই। চরম বিরোধী দলের সঙ্গেও অ্যালায়েন্স হয়ে যায়। আপনি ভারতে তাকিয়ে দেখেন একেবারে কট্টর ডানপন্থি, কট্টর বামপন্থির মধ্যেও অ্যালায়েন্স হয়ে নির্বাচন হচ্ছে। কারণ ওখানে সংখ্যার ব্যাপারটা ইম্পরটেন্ট।

>> আওয়ামী লীগ তো নাই

আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা হতে পারে কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ তো নাই।

জাতীয় পার্টির বিষয়ে বিএনপির অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা যে পার্টিগুলোর কথা বলছেন সেগুলোর সঙ্গে সবচেয়ে বড় বিরোধ বিএনপির। আওয়ামী লীগের অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন, ফ্যাসিবাদের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী বিএনপি। একই ভাবে জাতীয় পার্টির কাছেও আমরা ৯ বছর (এইচএম এরশাদের শাসনামলে) নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছি। তারপরেও আমরা যেটা বলে এসেছি সবসময়, আমরা তো একমত হয়েছি আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধে। আমরা বলেছি যে, ঠিক আছে। আমরা যেটা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দেওয়া উচিত।

>> শিগগির দেশে ফিরবেন তারেক রহমান

মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক সাহেব নিশ্চয়ই দেশে ফিরবেন, অবশ্যই দেশে ফিরবেন। কবে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিগগির ফিরবেন।

তবে তারেক রহমানের ফেরার দিনক্ষণের বিষয়ে কোনো কিছুই বলেননি বিএনপি মহাসচিব।

>> খালেদা জিয়া মাচ বেটার

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, আলহামদুলিল্লাহ উনি আগের চেয়ে শারীরিক দিক থেকে বেশ ভালো বলে মনে হয়। ডাক্তারা তাই বলছেন। শি ইজ মাচ বেটার।

আমার বার্তা/এমই

নেতাকর্মীরা পালিয়ে এদিক-সেদিক, ভারতে ছেলেকে নিয়ে ঈদ উদযাপন হাসিনার

সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ভারতে গেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ

ইউনূস-তারেক বৈঠক দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনবে

গোটা জাতি আজ লন্ডনের দিকে তাকিয়ে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির

দুদিন আগেই সরকার পতনের আশঙ্কা করেন শেখ হাসিনা

চরম অনিশ্চয়তা নিয়ে গভীর রাতে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। ঘুম যখন ভাঙল তখনো সূর্য ওঠেনি। বিছানায় মাথার

ড. ইউনূসের সঙ্গে সমঝোতার পরামর্শ খালেদা জিয়ার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে কোনও ধরনের বিরোধে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তালিমনগর দারুল আকরাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রদল-যুবদল, নিহত ১

শিক্ষক নিবন্ধনে থাকবে শুধু লিখিত-মৌখিক পরীক্ষা, বাদ যাচ্ছে প্রিলি

নির্দেশনার পরও মাস্ক পরছেন না মেট্রোরেলের বেশিরভাগ যাত্রী

নির্বাচিত সরকারে দায়িত্বে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই: ড. ইউনূস

উখিয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করায় এলাকায় ঝাড়ু মিছিল

জাতীয় পার্টি ছিল আওয়ামী লীগের দালাল: আখতার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

একদিনে সারাদেশে ২৮৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, বরিশালেই ২৬১

ভারতে করোনায় আরও ছয়জনের মৃত্যু, সক্রিয় রোগী ৭ হাজার ছাড়ালো

নেতাকর্মীরা পালিয়ে এদিক-সেদিক, ভারতে ছেলেকে নিয়ে ঈদ উদযাপন হাসিনার

বাংলাদেশে ১৭ বছর পর ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর নির্বাচন হবে

ম্যাডলিন জাহাজ দখ‌ল করে ইসরায়েল বিশ্বকে লজ্জায় ফেলেছে: রাষ্ট্রদূত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

বিদায় নিতে হবে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে

চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি রুতবা ইয়াসমিন

কাজলের বর্ণনায় ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তিতে খালেদা জিয়ার ভূমিকা

বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্ব গড়তে আগ্রহী এয়ারবাস ও মেনজিস

শ্রম অধিকার সুরক্ষায় আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

ইউনূস-তারেক বৈঠক দেশের রাজনীতিতে সুবাতাস বয়ে আনবে