নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে: আমির খসরু
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫, ১৬:১২ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সকল দলের মধ্যে ঐক্যমত আছে। কোথাও দ্বিমত আছে আমরা মনে করেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এজন্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় ধৈর্য ধরতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেস বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপার্সনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আমির খসরু। তিনি জানান, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি, প্রাণীসম্পদ, রাজনীতি ও ফুটবল খেলার উন্নয়ন-পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। যেখানে দুই দেশের মধ্যে কিভাবে পারস্পারিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরও উন্নত করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের ব্যাপারে (রমজানের আগে) একটা জাতীয় ঐক্যমত আছে। এটা সবারই মতামত, এ জায়গাতে কোথাও দ্বিমত আছে বলে মনে করি না। এখানে সবাই ঐক্যমত। কারণ বিভিন্ন কারণে এই জায়গাটায় আমরা এসছি এবং জাতীয় ঐক্যমত পোষণ করছি। লন্ডোনে বৈঠকের পর জাতি কিন্তু অত্যন্ত আনন্দিত। সবার মধ্যে একটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই জায়গাটার মধ্যে কোন অসুবিধা আমি দেখছি না। আর দিনক্ষণ যেটা, সেটা তো নির্বাচন কমিশন তারা ডিক্লেয়ার করবে। সেটা তো আর সরকারের বলতে পারবে না, আমরাও বলতে পারবো না। নির্বাচনের তারিখ নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে আসবে এবং আমরা সেটার জন্য অপেক্ষা করব। নিশ্চয়ই কোন একটা সময়ে আগামী দিনে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটা দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। তো এটার জন্য একটু আমাদেরও তো ধৈর্য থাকতে হবে, তাই না? একদম অস্থিরতার মধ্যে সারাক্ষন থাকলে তো হবে না। একটু তো ধর্য্য ধরতে হবে। একটু একটু সহনশীল হতে হবে। আমাদের মধ্যে আস্থারও একটা ব্যাপার আছে। আমরা যদি একেবারে আস্থাহীন হয়ে যাই, একদম অস্থিরতার মধ্যে থাকলে তো সমস্যা। এটা কোনো জাতির জন্য এটা কাম্য না। আমরা সঠিক পথে যাব, জাতি অবশ্যই একটা গণতান্ত্রিক পথে চলছে। আমরা সেটা সমাধান করতে পারব। একটা সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে, অতটুকু আস্থা আমাদের সকলকে রাখতে হবে।
সরকারের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে কোন বার্তা দেওয়া যায় কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই। এটা নিয়ে সরকারের সাথে নির্বাচন কমিশনের কথা হবে। এই ব্যাপারে এটা তো খুবই স্বাভাবিক। এটা তো রুটিন ব্যাপার তাই না। সুতরাং আমরা সবাই একটু ধৈর্য ধরে সময় দেই। লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে, এটা আমার মনে হয় জাতির জন্য একটা বড় ধরনের একটা ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। আমরা ওইটাকে সেইভাবেই দেখি। আমরা এর এর মধ্যে কোন ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ করে আমাদের ভবিষ্যত সামনে চলার পথ বিঘ্নিত করা ঠিক হবে না। আমি তো মনে করি খুবই সুষ্ঠ একটা বিবেচনা প্রসুত আলোপালোচনা, কথাবার্তা, সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা একটু ধৈর্য সহকারে এগুতে থাকি। সবকিছু সমাধান আগামী দিনে হবে এবং সময়মত দেশে নির্বাচন হবে। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। জনগণের যে ভোটাধিকার, মানবাধিকার, তার মালিকানা ফিরে পাওয়া, যার জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছি আমরা, সময়মত হয়ে যাবে। দেশ সেদিকেই যাচ্ছে সেটা আমরা বিশ্বাস করি।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানো নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরামের এই সদস্য বলেন, আইনগতভাবে কোর্টের রায় হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও আসছে। সুতরাং সবাই অপেক্ষায় আছে। আমরা দেখি সরকার কি সিদ্ধান্ত দেয়। একটু অপেক্ষা করি, একটু ধৈর্য ধরি। নিশ্চিতভাবে সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি। সুতরাং আমরা একটু ধৈর্য ধরি।
আগামী দিনে বিএনপি বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটা বড় পরিবর্তন আনতে চায়। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা। জাতীয় স্বার্থে জায়গাতে ঐক্যমতের ওপর জোর দিচ্ছে বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
আমার বার্তা/শিহাবুল ইসলাম/এমই