নিম্নকক্ষে নয়, উচ্চকক্ষে পিআর চায় এনসিপি: সারজিস আলম
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির পক্ষে ও নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে আছে বলে জানিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) জামালপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সমন্বয় সভায় এই কথা বলেন তিনি।
এসময় সারজিস আলম বলেন, ঐক্যমত কমিশনও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে উচ্চকক্ষে পিআর বাস্তবায়নের দিকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা মনে করি, যদি উচ্চকক্ষে পিআর সফল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু হবে কি না। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এনসিপির সুস্পষ্ট অবস্থান হলো, আমরা উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে, কিন্তু এই মুহূর্তে নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নই।
জোট গঠন ও শাপলা প্রতীক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনকেন্দ্রিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে এনসিপি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা মনে করি, দলের ও দেশের স্বার্থে এনসিপি এককভাবেও নির্বাচনে যেতে পারে, আবার কোনো নির্বাচনী জোট বা সমঝোতার ভিত্তিতেও অংশ নিতে পারে। তবে যদি জোট হয়, সেটি হবে একটি ইলেক্টোরাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এর মাধ্যমে। সেক্ষেত্রেও এনসিপি নিজ নামে নির্বাচন করবে। আমরা প্রত্যাশা করছি, এনসিপি আমাদের নির্ধারিত প্রতীক শাপলা নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।
সারজিস আরও আলম বলেন, দেশের নির্বাচন আইন ও এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। নির্বাচন কমিশনের বিধান অনুযায়ী শাপলা প্রতীকে নির্বাচন করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তাই আমরা আশা করি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার প্রভাব কিংবা স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়াই আইন অনুযায়ী কাজ করবে। আমরা শাপলা প্রতীক পেয়ে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবো এই প্রত্যাশা রাখি।
তিনি জানান, উত্তরাঞ্চলের সাংগঠনিক টিম ইতোমধ্যে ৩২টি জেলার প্রতিটিতে গিয়ে সাংগঠনিক সমন্বয় সভা করেছে। আমাদের লক্ষ্য, আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন করা। এরপর পর্যায়ক্রমে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটিগুলো আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে গঠন করতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, বিচার, সংস্কার এবং জুলাই সনদ সম্পর্কিত কার্যক্রমে সন্তোষজনক অগ্রগতি হলে, গণতান্ত্রিক ধারায় একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য এনসিপির অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। সে লক্ষ্যে এনসিপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা জরুরি।
আমার বার্তা/এমই