বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী সাংবাদিক আহসান হাবিব

জ্ঞাভিত্তিক-কল্যাণকর রাজনীতির সূচনা করতে চান

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৪১ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন ত্রয়োদশ  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী পাকুন্দিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন সাংবাদিক আহসান হাবিব। তিনি বাংলা জাতীয় দৈনিক আমার দিন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রকাশক। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত হন।  মানবজমিন এবং দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি ছিলেন। পরে তিনি ঢাকা গিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং ইংরেজি জাতীয় দৈনিক নিউজ টুডে ও ফিনান্সিয়াল হেরাল্ড পত্রিকায় কাজ করেছেন। একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম আছে। আহসান হাবিব একজন পেশাদার সাংবাদিক হলেও ছাত্র জীবন থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি কটিয়াদী উপজেলা জাসাস'র সাবেক আহ্বায়ক এবং জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য।  আহসান হাবিব ১৯৮০ সালের ৭ জানুয়ারি উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের হারিনা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম লাভ করেন। তার গ্রামের বাড়ীটি  হারিনা বড় বাড়ী নামে পরিচিত। তার বাবা মরহুম হাজী মোহাম্মদ সিরাজুল হক  ছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী। দাদা হাজী মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন এবং বড় বাবা খলিল প্রধান ছিলেন গ্রাম্য বিচারক। বংশপরম্পরায় তারা ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে পরিচিত। ছাত্র জীবন থেকেই আহসান হাবিব যে কোনো অন্যাযয়র বিরুদ্ধে ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। দিনকাল ও মানবজমিন পত্রিকাযয় কাজ করার সময় তিনি একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন। কিন্তু অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি। 

উচ্চ শিক্ষিত (এম.এ) হলেও তিনি একজন ধর্মানুরাগী মানুষ। নিয়মিত নামাজ রোজা পালন করেন। পবিত্র কোরআনের ৩০ তম পারা অর্থাৎ আম পারার একজন হাফেজ তিনি। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি ............ বলেন,'“ছাত্রজীবনে রাজনীতি করেছি প্যাশন থেকে। আর এখন রাজনীতি করছি দায়িত্ববোধ থেকে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের হাল ধরার মতো একজন মানুষই আছেন। তিনি হলেন তারেক রহমান। ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে দীর্ঘকাল ধরে তার অসাধারণ লড়াই  এবং দূরদর্শী নেতৃত্ব গুনে দলকে অটুট রেখেছেন।  স্বৈরাচার পতনের পর থেকে তার প্রতিটি কথা ও আচরণে তিনি অসীম ধৈর্য ও সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে তিনি রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা রাখছেন। তিনি একজন পরিপূর্ণ জাতীয় নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি বারবারই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের কথা বলছেন। দলে শিক্ষিত,সৎ এবং মেধাবী মানুষদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাইছেন। তার এই আহ্বানে অনুপ্রাণিত হয়েই আমি নির্বাচনে আগ্রহী হয়েছি।

বিএনপি তথা তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে তার টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করতে চাই।  বালু মহাল,জল মহাল খেয়াঘাট, হাট-বাজারের ইজারাদারি,টেন্ডারবাজি অর্থাৎ স্থানীয় প্রশাসন এবং এলাকায় সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য নয়। বরঞ্চ এসবের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখার জন্যই নির্বাচনের মাঠে পা বাড়িয়েছি। এতকাল চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মাদক কারবারি এবং দুর্নীতিবাজরা রাজত্ব করেছে। সাধারণ মানুষের শান্তি  কেড়ে  নিয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষ শান্তিতে থাকবে। আর অপরাধীদের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। আমার এলাকায় কোন অপরাধীর স্থান হবে না ইনশাল্লাহ। তোষামোদ ও দোষারোপের রাজনীতির বদলে জ্ঞাভিত্তিক-কল্যাণকর রাজনীতির সূচনা করতে চাই।

উনি যে ধরনের প্রার্থী দেয়ার কথা বলছেন তার সব  বৈশিষ্ট্যই আমার মধ্যে আছে। পতিত হাসিনা সরকারামলে আমি চাকরি হারিয়েছি। নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছি। ছাত্রজীবনে বিএনপি সংশ্লিষ্টতার কারণে আমাকে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ বিটিভি থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ২০১৮ সালে আমার পত্রিকার মিডিয়াা বাতিল করা হয়। তবুও জীবন বাজি রেখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কলম ধরেছি। বিশেষ করে ২০২৩ সালে আমেরিকা ভিসা পলিসি ঘোষণার পর  সব রকরমর ঝুঁকি উপেক্ষা করে বিএনপি'র পক্ষে সাধ্যমত ভূমিকা রেখেছি। বিএনপি মহাসচিবও এ বিষয়ে অবগত আছেন। অন্যদিকে তারেক রহমান সাহেব আমার শ্বশুর বাড়ীতে একাধিকবার বেড়াতে গেছেন। আমার স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ীকেও তিনি চেনেন। সুতরাং তারেক রহমান সাহেবের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে খুবই আশাবাদী ইনশাল্লাহ।”

তিনি আরো বলেন.“কিছু মানুষের বিতর্কিত এবং ভুল রাজনীতির ফলে বিএনপি'র ঘাঁটি খ্যাত এই আসনটি ২০০১ সালে হাতছাড়া হয়। আমি মনোনয়ন পেলে বিপুল বিজয়ে আসনটি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি কটিয়াদী পাকুন্দিয়াকে পুনরায় বিএনপি দুর্গে পরিণত করবো ইনশাল্লাহ।”


আমার বার্তা/এমই