এনসিপি আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দলে পরিণত হচ্ছে: রাশেদ খান
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪৫ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বুঝে না বুঝে ‘আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দলে’ পরিণত হচ্ছে। তার দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জাতীয় ঐক্যমত কমিশন জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি ‘জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে একই দিনে ভোটের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটে ‘না’ অবস্থান নিয়েছেন।
রাশেদ খান সাতটি দফায় তার বক্তব্য তুলে ধরেন। প্রথমেই তিনি লেখেন, জাতীয় ঐক্যমত কমিশন দলগুলোর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল যে বিশেষজ্ঞরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন। সে সময় জামায়াত ছাড়া প্রায় সব দল একমত হয়েছিল— এমনকি এনসিপিও প্রাথমিকভাবে সেই অবস্থান নেয়।
তবে পরদিন এনসিপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে, উল্লেখ করেন রাশেদ খান। তার ভাষায়, এরপর থেকেই এনসিপি ও জামায়াত একই অবস্থানে চলে আসে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু এনসিপি এই সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনতে চায় না, বরং গোপন রাখতেই আগ্রহী।
তিনি আরও দাবি করেন, নিজেদের আলাদা ভাবমূর্তি বজায় রাখতে এনসিপি কৌশলগতভাবে জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করে। কিছুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জামায়াত–এনসিপি সম্পর্কের মধ্যে দেখা দেওয়া ‘ফাটল’ আসল নাকি কৃত্রিম- উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি মূলত রাজনৈতিক বোঝাপড়ার অংশ।
রাশেদ খানের মতে, জামায়াত যেসব রাজনৈতিক কাজ সরাসরি করতে পারে না, সেগুলো এনসিপির মাধ্যমে করানো হয়। তার দাবি, এনসিপির মধ্যে জামায়াত–শিবির ঘনিষ্ঠদের প্রভাব রয়েছে, যারা দলটির নেতৃত্বে প্রভাব বিস্তার করে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'জামায়াত–শিবিরের নিয়োগ নীতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি।'
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সম্প্রতি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ‘আরেকটি মওদুদীবাদী প্রক্সি দলের প্রয়োজন নেই’। রাশেদ খানের মতে, মাহফুজ আলমের সেই মন্তব্যই প্রমাণ করে যে এনসিপি নিজেদের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অবস্থান গড়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে।
শেষে রাশেদ খান বলেন, '১৪ মাসে সরকার তার ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি, হাতে সময় আছে মাত্র চার মাস। এই সময়ের মধ্যে দুইটি নির্বাচন আয়োজন করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। বরং নভেম্বরের গণভোট প্রসঙ্গ তুলে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, যার মাধ্যমে কেবল আওয়ামী লীগই লাভবান হবে।'
তার দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐক্যমত কমিশন জামায়াত ও এনসিপি ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, 'দেশকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে- আরেকটি ১/১১ পরিস্থিতি অনিবার্য করা হচ্ছে।'
আমার বার্তা/এমই
