ই-পেপার রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে: মির্জা ফখরুল

আমার বার্তা অনলাইন:
০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৬

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের প্রত্যেকটি মানুষ বার বার চিন্তা করছে কী হবে, কী হতে পারে। বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। যতই সময় যাচ্ছে ততই বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে। দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা দেখছি, সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচার দিয়ে বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া চলছে।

রোববার (০২ নভেম্বর) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর দিনটি রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭৫ সালে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়। দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরা শহীদ প্রেসিডেন্টকে বন্দি করে রেখেছিল। সেই অবস্থা থেকে দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। এরপরই ইতিহাসে শুরু হয় বাংলাদেশের সাফল্যের নতুন অধ্যায়।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন এবং দ্রুতই দেশকে এমন এক অবস্থানে নিয়ে যান, যেখানে পূর্বে যেভাবে বাংলাদেশকে ‘বটমলেস বাস্কেট’ বলা হতো, সেখান থেকে তিনি দেশকে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্তে তুলে ধরেন। তার আমলেই শুরু হয় বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ- একটি ইমার্জিং টাইগার হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক ক্ষণজন্মা পুরুষ। আমরা সবাই জানি, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তখন ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে অকুতোভয় সেই সামরিক কর্মকর্তা ঘোষণা দেন- ‘I hereby declare the independence of Bangladesh.’ এরপরের পাঁচ বছর ছিল আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ইতিহাস। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তখন দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একদলীয় শাসনব্যবস্থা-বাকশাল। সেই সময় বাংলাদেশে প্রশাসনিক ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে ১৯৭৪ সালে ঘটে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, যেখানে লাখ লাখ মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যায়। তৎকালীন অর্থনৈতিক সমিতির সভাপতি স্বয়ং শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে বলেছিলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তীব্র গতিতে রসাতলে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে অবস্থার পরিবর্তন ঘটান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি প্রথম রাজনৈতিক সংস্কারের হাত দেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে দেশকে নিয়ে আসেন বহুদলীয় গণতন্ত্রে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন, নিষিদ্ধ হওয়া পত্রিকা পুনরায় চালু করেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেন, গঠন করেন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। অর্থনীতিতে তিনি সূচনা করেন নতুন যুগের। তার হাত ধরে গড়ে ওঠে গার্মেন্টস শিল্প, বিদেশে শ্রমিক প্রেরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়, যার মাধ্যমে রেমিট্যান্স আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ। নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে তিনি নেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। কৃষিতে বিপ্লব ঘটে তার খাল খনন কর্মসূচি, উচ্চফলনশীল বীজের আমদানি এবং সার ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে। শিল্পে তিন শিফটে উৎপাদন শুরু হয়, কর্মসংস্থান বাড়ে, নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়— দেশ তখন এক কর্মযজ্ঞে মেতে ওঠে।

‘কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবুও তার দর্শন, তার আদর্শ আজও বেঁচে আছে। তার প্রদত্ত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শন কখনো পরাজিত হয়নি। আর তাই বিএনপিও পরাজিত হয়নি, বার বার ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, আজ তারই উত্তরসূরি তারেক রহমানও সুদূর প্রবাস থেকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে সংগ্রামের ধারাবাহিকতা গড়ে উঠেছিল, সেটিই আজ অব্যাহত রেখেছেন তারেক রহমান- জাতিকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বর আমাদের রাজনৈতিক ও জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আমরা এ দিনটিকে স্মরণ করি। কারণ এর মধ্য দিয়েই জেগে ওঠে জাতির চেতনা। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সেই দর্শনকে সামনে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব- গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের পথে।

আমার বার্তা/এমই

প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে তারেক রহমানের আহ্বান

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান/ছবি: সংগৃহীত জাতীয়

জনমনে প্রশ্ন বাড়ছে-যথাসময় কি নির্বাচন হবে: তারেক রহমান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করার পরও প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্যনতুন শর্তজুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র

নির্বাচনে ধানের শীষ ও শাপলা কলি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে: নাসীরুদ্দীন

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, নির্বাচনী প্রতীক নির্ধারণ ও নিবন্ধনের প্রক্রিয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের

শাপলা কলি প্রতীক মেনে নেবে এনসিপি

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মেনে নেবে বলে
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে তারেক রহমানের আহ্বান

জনমনে প্রশ্ন বাড়ছে-যথাসময় কি নির্বাচন হবে: তারেক রহমান

ভারতীয়কে পিটিয়ে ‘বাংলাদেশি’ স্বীকার করানোর চেষ্টা বিএসএফের

মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিষ্টার চৌধুরী ইশরাক সিদ্দিকীর নদীপথে গণসংযোগ

বিশ্বের ৫০তম প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ক্যানসার নিয়ে সর্বজনীন সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বায়ুদূষণ রোধে সব সংস্থাকে একযোগে মাঠে নামার নির্দেশ পরিবেশ উপদেষ্টার

তাড়াহুড়োর মাধ্যমে বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে চায় কমিশন: ছাত্রদল

অক্টোবর মাসে প্রবাসীরা পাঠালেন ৩০ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা

দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৬২ জন

গরু চোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা, ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সোহান-শরিফুলের ইনজুরি নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল

বিকট শব্দ ও উচ্চগতিতে চলছিল মোটরসাইকেল রেস, দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

চলন বিলে জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা

তৃতীয় ধাপের হালনাগাদে ভোটার বেড়ে ১২ কোটি ৭৬ লাখ: ইসি সচিব

প্রাণীকে গবেষণার জন্য বাইরে পাঠানো হবে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

সামরিক চ্যানেল পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিলো যুক্তরাষ্ট্র-চীন

জুলাই বিরোধী শক্তির আস্ফালনের প্রতিবাদে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

সরকারী সেবা খাতে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়ে না

শরীয়তপুরে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠলো পুরো এলাকা