সিরাজগঞ্জ-৪ আজাদের প্রার্থীতায় বিপুল ভোটে জেতার সম্ভাবনা ধানের শীষ
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:৪৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

নানান হিসেব নিকাশ শেষে অবশেষে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম. আকবর আলী। যদিও আকবর আলী এখনো চুড়ান্ত প্রার্থী বলছে দলটি। প্রয়োজনে প্রার্থীতা পরিবর্তনও হতে পারে বলে মনোনয়ন প্রকাশের দিনই বলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্যদিকে এই আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানকে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছে জামায়াত। তাকে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়।
উল্লাপাড়ার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, উল্লাপাড়ায় বিএনপির প্রার্থী যাকে করা হয়েছে অবিলম্বে তা যদি পরিবর্তন না করা হয় তাহলে এই আসনে বড় ব্যবধানে পরাজয় বরণ করবে দলটি। কারণ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আকবর আলী এমন ভোট পেয়েছিল যে তার জামানত বাতিল হয়েছিল। এবার যেহেতু আওয়ামী লীগ নেই তথাপিও বিএনপির প্রার্থী আকবর আলী এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খানের কাছে পরাজিত হবেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) প্রার্থী পরিবর্তন করে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজাদ হোসেনকে প্রার্থী করা হলে অন্তত ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপি জিতে যাবে। কারণ তিনি গত ১৫ বছর ধরে এই আসনে বিএনপির জন্য কাজ করেছেন। নানানভাবে হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগ হামলা মামলা করেছে যেমন তেমনিক জামায়াতও হামলা করেছে বেশ কয়েকবার।
আজাদ হোসেন ১৯৮৭ সালে উল্লাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত থাকেন। ১৯৯২ সালে তিনি উপজেলা যুবদল সভাপতি নির্বাচিত হন। একটানা ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি যুবদল সভাপতির পদ অলঙ্কিত করেন। একই সময়ে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ সভাপতির পদেও ছিলেন। এরপর তিনি উল্লাপাড়া পৌর বিএনপির ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত বিএনপির সদস্য সচিব নির্বাচিত হন। এখনো সদস্য সচিব পদে বহাল রয়েছেন।
আজাদ হোসেন বিরুদ্ধে ১৬ বছর মামলা হয়েছে ৪১টি। বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা) নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির আরও অনেক প্রার্থীতা চেয়েছিলেন। তারা হলেন-উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল ওহাব, সদস্য সচিব আজাদ হোসেন, পুলিশের সাবেক ডিআইজি খান সাঈদ হাসান জ্যোতি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. সিমকী ইমাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি কে.এম শরফুদ্দীন মঞ্জু, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ রনি। এরপরেও নেতাকর্মীদের দাবি, আজাদ হোসেনই এই আসনের একমাত্র যোগ্যপ্রার্থী। বিএনপি তাকে মনোনয়ন দিলে খুবই ভালো করবে।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আকবর আলীর বয়স এই মুহুর্তে ৯০ বছর। তিনি একা চলাফেরা করতে পারেন না। দুই দিকে দুজন ধরে তিনি চলাচল করেন। কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও তার ভোটের জনপ্রিয়তা আজাদের চেয়ে বেশি নয়। তিনি এলাকায় খুব একটা যেতেন না। সবসময় ঢাকাতেই পড়ে থাকতেন। অথচ আজাদ হোসেন সেই ১৯৮৭ সাল থেকে এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে বিএনপির রাজনীতি করেছেন এবং আন্দোলন সংগ্রামে সাধারণ মানুষের সাথে থেকে বিএনপিকে এগিয়ে নিয়েছেন। কাজেই এলাকার মানুষ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে আজাদ হোসেনকেই দেখতে চান।
আমার বার্তা/এল/এমই
