
আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা, অর্থের জোগানদাতা এবং ২০২৪ সালের ‘ডামি’ নির্বাচনে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা যেন আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সেই দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দিয়েছে গণ-অধিকার পরিষদ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল এই স্মারকলিপি প্রদান করে।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের রাশেদ খান বলেন, তারা কোনোভাবেই চান না যে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বিতর্কিত বা বানচাল হোক। তাদের আশঙ্কা, আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন বানচাল করার মাধ্যমে ‘আরেকটি ১/১১’ সৃষ্টির সুযোগ নিতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে তাদের প্রধান দাবি: যারা আওয়ামী লীগের নেতা ছিল, যারা আওয়ামী লীগের পদে ছিল, যারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডামি স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, তারা কোনোভাবেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে না।
রাশেদ খান জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন আগামীকাল থেকে যে সংলাপের আয়োজন করেছে, সেই সংলাপে যাতে কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি, ১৪ দলসহ যারা ২৪-এর ডামি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তাদেরকে সংলাপে ডাকা না হয়।
তিনি যুক্তি দেন, সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যেখানে এই দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানায়নি, সেখানে নির্বাচন কমিশন শুধু নিবন্ধনের দোহাই বা আইনের অজুহাতে তাদের সংলাপে ডাকতে পারে না।
নির্বাচন কমিশনের ঐতিহাসিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাশেদ খান বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সাধারণ কোনো কমিশন নয়। এটি গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত হয়েছে এবং এর প্রধান লক্ষ্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়া।
রাশেদ খান ইসির প্রতি আস্থা রাখলেও, তাদের দাবি যথাযথভাবে পালন না হলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, সে ক্ষেত্রে আমরা রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলব।’
আমার বার্তা/এল/এমই

