জাতীয় সংহতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যের রাজনীতির আহ্বানে পিপলস পাওয়ার পার্টির জনসংযোগ সভা
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

পিপলস পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট, জাতীয় সংহতি এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় “ঐক্যের রাজনীতির ভূমিকা” শীর্ষক এক জনসংযোগ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ সকাল ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব সংলগ্ন মাজার মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এ.এস. ফাহিম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইমরান হোসেন খান, ভা. হারুন অর রশিদ, মেহেদী আনোয়ার পাটোয়ারী, জাবেদ আলী, মাসুদুল ইসলাম মাসুদসহ পিপিপি–র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, দেশে প্রকৃত অর্থে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রাজনৈতিক দল গড়ে ওঠেনি। পরিবারতন্ত্রভিত্তিক রাজনীতি, ব্যক্তি ও তাদের ঘনিষ্ঠ মহলের প্রভাব, এবং দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব রাজনীতিকে সংকুচিত করে ফেলেছে। এই পরিস্থিতি সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে রাজনীতির মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করছে এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অস্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি করছে। পিপিপি সেই পুরনো রাজনীতির ধারা ভেঙে গণমুখী ও সাংগঠনিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বলে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন।
সভায় বক্তারা ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী অর্জনগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দেন। তারা বলেন, দেশি–বিদেশি অপশক্তির যেকোনো হস্তক্ষেপ মোকাবিলায় জুলাই বিপ্লবের পক্ষশক্তির সার্বিক ঐক্য অপরিহার্য। দেশে স্থিতিশীলতা আনতে রাষ্ট্রনায়কদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি জাতীয় ঐক্য গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলেও মত প্রকাশ করা হয়।
পিপিপি নেতারা প্রস্তাব করেন- সকল গণতান্ত্রিক পক্ষশক্তি বেগম খালেদা জিয়াকে ‘জাতির আপোষহীন অভিভাবক’ হিসেবে আজীবন সম্মাননা প্রদান করবে।
২০২৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সফল করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘জাতির প্রাজ্ঞ অভিভাবক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার অঙ্গীকার করা হবে।
সভায় জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান–কে “সময়ের ভুল বোঝা ট্র্যাজিক হিরো” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতা ছাড়া গণভোট ও নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত সম্ভব নয়, এবং যদি সেনাবাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে তবে জাতি সেনাপ্রধানের অবদান স্মরণ করবে।
পিপিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে জুলাই বিপ্লবের পক্ষশক্তিভুক্ত অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ, জনসংযোগ এবং সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
সভা শেষে পিপিপি আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এ.এস. ফাহিম দেশব্যাপী গণসংযোগ কার্যক্রম আরও জোরদার করার ঘোষণা দেন।
