মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলায় যোগ দিলো বাংলাদেশ
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৭:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

কুয়ালালামপুরের সেগাম্বুট শহরতলিতে অবস্থিত মালয়েশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্য ও প্রদর্শনী কেন্দ্র মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলা। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় মেলায় দ্বিতীয়বারের মতো যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১১ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন ও কমোডিটিস মন্ত্রী ওয়াইবি দাতুক সেরি জোহারি বিন আবদুল গনি।
শুক্রবার (১১ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক মেশিনারি মেলার উদ্বোধন করেন মালয়েশিয়ার প্লান্টেশন ও কমোডিটিস মন্ত্রী ওয়াইবি দাতুক সেরি জোহারি বিন আবদুল গনি। এই মেলায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশের প্রায় ৪৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, চীন, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, জাপান ও ইরান। মালয়েশিয়া প্রোমাস ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সোসাইটি ও ইএস ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এ মেলা আয়োজন করেছে।
মেলার শেষদিন শনিবার (১২ জুলাই) আয়োজকদের আমন্ত্রণে বিজনেস ম্যাচিং অনুষ্ঠানে যোগ দেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান। সেখানে বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে উপস্থিত ব্যবসায়িক চেম্বারের প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন ব্যবসায়িদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে গুয়াংডং ফুড অ্যান্ড প্যাকেজিং মেশিনারি ট্রেডস অ্যাসোসিয়েশন, পেনাং ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, তেওচিউ মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন পেনাং, মালয়েশিয়া পেনাং এলিট ওমেনপ্রেনারস অ্যাসোসিয়েশন এবং দেওয়ান পারনিয়াগান উসাহাওয়ান মালয়েশিয়ার সদস্যবৃন্দসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে যা গ্রহণ করেন হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান। পরে সকল অতিথিবৃন্দসহ হাইকমিশনার বাংলাদেশের ২টি স্টলসহ মেলার অন্যান্য স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ হাইকমিশনের স্টলে আগত ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীদের সাথে মত বিনিময় করেন এবং তাদেরকে বাংলাদেশের বিভিন্ন রপ্তানি পণ্য সম্পর্কে অবহিত করেন।
পরিদর্শনের সময় আয়োজক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রবাসী সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণের অংশ হিসেবে তৈরি পোষাকের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য বেশি বেশি রফতানির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষাপটে এ ধরণের গুরুত্বপূর্ণ মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টির সুযোগ তৈরী হবে বলে আশা করা যায়। তিনি প্রাণ-আরএফএল কর্তৃক মেলায় প্রদর্শিত বহুমূখি প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপাশি দুরন্ত বাইসাইকেল, ট্রাভেলো লাগেজ, গুডলাক স্টেশনারি এবং উইনার ক্লোথিং কে সম্ভবনাময় হিসেবে উল্লেখ করেন।
মেলায় বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য, বাইসাইকেল, লাগেজ, স্টেশনারি, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ছাড়াও হাইকমিশনের পক্ষ থেকে চামড়াজাত পণ্য, পাটপণ্য, হস্তশিল্প এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, প্লাস্টিক শিল্প, প্যাকেজিং শিল্প, বাংলাদেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ সংক্রান্ত নানা ধরনের প্রকাশনা, পর্যটন ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।
মেলা উদ্বোধনের দিন থেকেই বাংলাদেশি স্টলসমূহে বিদেশি ব্যবসায়ীসহ দর্শনার্থীদের ভীড় পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং প্রদর্শিত বাংলাদেশি পণ্যসমূহ সম্পর্কে ইতিবাচক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়া, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে বিশ্বের নবম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ।
আমার বার্তা/এল/এমই