মালয়েশিয়ায় সাঁড়াশি অভিযানে ৭২ বাংলাদেশি আটক
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

মালয়েশিয়ার দুই রাজ্যে পৃথক সাঁড়াশি অভিযানে ৭২ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৪০২ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, জোহর রাজ্যের জোহর বাহরুর তেব্রাউ শিল্প এলাকায় একটি কম্পিউটার যন্ত্রাংশ কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩৫৬ জন অবৈধ প্রবাসীকে আটক করা হয়। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এ অভিযান পরিচালিত হয় অবৈধভাবে শ্রমিক নিয়োগের তথ্যের ভিত্তিতে।
জোহর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক দাতুক মোহদ রুসদি মোহদ দারুস জানান, সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)-এর সহযোগিতায় জেআইএম জোহরের এনফোর্সমেন্ট শাখা এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক বিদেশি বৈধ ভ্রমণ নথি ও কাজের অনুমতি ছাড়াই কারখানাটিতে কর্মরত ছিলেন।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় কয়েকজন বিদেশি পালানোর চেষ্টা করলেও সব বহির্গমন পথ বন্ধ করে দেওয়ায় তারা ব্যর্থ হন। এ ঘটনায় তদন্তে সহায়তার জন্য কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের দুইজন স্থানীয় কর্মীকেও আটক করা হয়েছে।
যাচাই-বাছাইয়ে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯৯ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন ভারতীয়, তিনজন ইন্দোনেশীয়, দুইজন নেপালি এবং একজন করে পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের নাগরিক রয়েছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে।
দাতুক রুসদি আরও জানান, কারখানাটিতে অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের সুসংগঠিত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আটক সবাইকে ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ ও ইমিগ্রেশন বিধিমালা ১৯৬৩-এর আওতায় সেতিয়া ট্রপিকা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।
এদিকে নেগেরি সেম্বিলান রাজ্যের নিলাই এলাকায় একটি লৌহ কারখানায় পরিচালিত পৃথক অভিযানে ৪৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
রাজ্য ইমিগ্রেশন পরিচালক কেনিথ তান আই কিয়াং জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে চার ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে ২৬ জন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা অংশ নেন। এ সময় ১১৭ জনকে যাচাই করে ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সী ৪৬ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আটকদের বিরুদ্ধে বৈধ পাস ও ভ্রমণ নথি না থাকা এবং নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের লেংগেং ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।’
অভিযানে সেরেমবান সিটি কাউন্সিল ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও অংশ নেন। পাশাপাশি অবৈধ শ্রমিক নিয়োগে জড়িত মালিকপক্ষের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আমার বার্তা/জেএইচ
