একাধিক দপ্তরে সিন্ডিকেট-দুর্নীতি: অতিরিক্ত সচিব শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:২৮ | অনলাইন সংস্করণ
বিশেষ প্রতিনিধি:

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা ও এলজিআরডি—তিন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য, প্রকল্প লুটপাট থেকে শুরু করে বিদেশে টাকা পাচারের ভয়াবহ অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে তিনি একের পর এক প্রভাবশালী পদ বাগিয়ে নেন এবং কোটি কোটি টাকার অনিয়মের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়ান বলে অভিযোগকারীদের দাবি।
মানবাধিকার সংস্থা এসইবিআর গত ১০ অক্টোবর ক্যাবিনেট সচিব, দুদক ও জনপ্রশাসন সচিবের কাছে অভিযোগ দাখিল করে। তারা দাবি করে, শাহজাহান মিয়া চাকরি জীবনের শুরু থেকেই ঘুষ ও দুর্নীতিতে জড়িত। ওয়াসায় দায়িত্বকালে শত কোটি টাকার বকেয়া বিল ১০–১৫% কমিশনে ঠিকাদারদের পরিশোধের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প, কেনাকাটা, বিল পরিশোধ ও মাস্টাররোল নিয়োগে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দায়িত্বকালীন সময়ে তৎকালীন মেয়র ফজলে নূর তাপসের সময় ১৫০০ কোটি টাকার বিল পরিশোধে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা কমিশন নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক থাকাকালে সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ঠতার সুবাদে শত কোটি টাকার প্রকল্প বরাদ্দ এবং ‘সিন্ডিকেট’ গড়ে বিল উত্তোলনের অভিযোগও এসেছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে—শাহজাহান মিয়া আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতে টাকা পাচার করেছেন। ঢাকায় ধানমন্ডি ও বারিধারায় ফ্ল্যাট এবং গ্রামের জমি কেনার অভিযোগও রয়েছে।
দুদক তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ তদন্ত শুরু করলেও তিনি তদবির করে তা থামিয়ে দেন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ওয়াসা ও সিটি কর্পোরেশন থেকে সরানো হলেও একের পর এক বদলি হয়ে শেষ পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। হোয়াটসঅ্যাপে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।
আমার বার্তা/এমই
