৫৮ বছর বয়সে মাঠে নামছেন বিশ্বকাপজয়ী রোমারিও

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

রোমারিও ডি সোজা ফারিয়া আলো কেড়েছিলেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপে। সেবার ব্রাজিল টাইব্রেকারে ইতালিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। টুর্নামেন্টে দ্যুতি ছড়িয়ে সেবার ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। তারপর খেলা ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। হয়েছিলেন ব্রাজিলের জাতীয় কংগ্রেসের সিনেটর। ২০০৯ সালে আমেরিকা আরজে থেকে বুটজোড়া তুলে রেখে যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। ১৫ বছর পর আবার সেই ক্লাবের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন ৫৮ বছর বয়সের রোমারিও।

ব্রাজিলিয়ান এই তারকার ছেলে রোমারিনহোও খেলেন আমেরিকা আরজেতে। তার সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগ করে নিচ্ছেন। দলটির সঙ্গে অনুশীলনও করতে দেখা গেছে তাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, এখনও তিনি আগের মতোই ফিট রয়েছেন। তার শারীরিক গঠন বলে দেয়, এখনও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার মতো সামর্থ্য রয়ে গেছে তার।

রিও ডি জেনারিওর এই সিনেটর রোমারিও আবার এই ক্লাবটির বর্তমান সভাপতিও। তাই গাম্ভীর্য থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে অনুশীলনে নেমে সব ভুলে যেভাবে ফুটবলারদের সঙ্গে মেতে উঠেছিলেন আড্ডায়, তুলছিলেন সেলফি, তাতে তারকা রোমারিওর কোনো ছাপ পড়েনি। মাঠের সঙ্গে মিশে যেতে যেন সময় নেন না তিনি। ১৯৯৭ সালে স্প্যানিশ ক্লাব ভেলেন্সিয়া থেকে যখন ধারে ফ্ল্যামেঙ্গোতে গেলেন, তখনই তার ক্যারিয়ার কার্যত শেষ হয়ে যায়। আর তার সফল ফুটবল ক্যারিয়ার নিয়ে ডকুমেন্টারি সিরিজ ওটিটিতে প্রকাশিত হবে শীঘ্রই।

রাজনীতি, ব্যবসা, খেলাধুলা, ক্লাব এসবের পরেও ফুরফুরে মেজাজেই পাওয়া যায় রোমারিওকে। ৫৮ বছর বয়সে শৈশবের ক্লাবে কেন নাম লেখালেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে মাঠ ভাগাভাগি করার স্বপ্ন ছিল। এখন সেটা পূরণ করতে আমি প্রস্তুত। এটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নয়, আমার ভালোবাসার দলের সঙ্গে কিছু ম্যাচ খেলতে চাই।’

৫৮ বছর বয়সে মাঠে ফিরছেন দেখে তাকে সতর্ক করে দিয়েছেন বার্সেলোনায় রোমারিওর সাবেক সতীর্থ মার্কাস আলেকজান্দ্রে, ‘ঘাসে তার ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে তাদের সচেতন থাকতে হবে। এটা পরিষ্কার করে দেওয়া যে এটা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয় নয়, বরং বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে কিছুটা সময় ভাগাভাগি করে নেওয়া।’


আমার বার্তা/জেএইচ