কুরআনে রাঙা হোক পরিবার

-আবু মুসা কবির

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪১:৫২

প্রিন্টঅঅ-অ+

রাজধানীর পশ্চিম রামপুরায় মাদরাসা উসমান রা. পরিচালনা করছেন হাফেজ মাওলানা আবু মুসা কবির। আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ বিনির্মাণে রাখছেন অবদান। কীসের নেশায় প্রায় দুই যুগ ধরে তিনি এই ছোট ছোট শিশুদের গড়ায় কাজ করছেন। এ নিয়ে কথা বলেছেন আমার বার্তার জীবন ও ইসলাম পাতার প্রতিবেদক মানজুম উমায়ের-এর সঙ্গে। নিচে কথোপকথনের অংশবিশেষ তুলে ধরা হলোÑ

প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?

উত্তর : ওয়ালাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ। ভালো আছি।

প্রশ্ন : আপনি কীসের আশায় দেশে আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ তৈরির জন্য কাজ করছেন?

উত্তর : আলহামদুলিল্লাহ। আমি দুই যুগ ধরে মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্যই দেশে হাফেজ তৈরির জন্য কাজ করছি। একদিকে যেমন কুরআন পড়লেই পুণ্য অন্যদিকে কুরআনের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্কের একটা বিষয় আছে। আমি কওমি মাদরাসায় পড়ালেখা শেষ করে সরাসরি পুণ্য পাওয়া যায় এমন একটি কাজে মূলত যুক্ত হয়েছি। ভালো মানের হাফেজ বিনির্মাণে অবদান নয়, আমি কেবল চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রশ্ন : আমরা দেখছি, মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে। ভালো হাফেজ পড়ালেখা শেষ না করেই চলে যাচ্ছে বিদেশে? আপনার অনুভ‚তি কী?

উত্তর : হিফজের ক্ষেত্রে মেধা পাচারের বিষয়টি আমি মানছি না। তবে পড়ালেখা শেষ না করে যারা বিদেশে যাচ্ছে- আমি এর ঘোর বিরোধী। একজন কিশোর-তরুণ কাজের জন্য আগে উপযোগী হতে হবে। হ্যাঁ, তা সত্য। শরীয়ত তাকে কোনো বাধা দিচ্ছে। একটি সূরা শিখেই তা অন্যকে শেখাতে পারবে। তবে লেবাসের কারণে আমাদের পরিবেশ-প্রতিবেশ সবাইকে জান্তা আলেম মনে করে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিরও সুযোগ হতে পারে। ভালো হাফেজকে অবশ্যই ভালো আলেমও হওয়া উচিত।

প্রশ্ন : হাফেজ বানানোর ক্ষেত্রে দেশের ভালো পরিবারের আগ্রহ কেমন?

উত্তর : আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। গরিব অসহায় মানুষের পড়ালেখার সুযোগ এখন কমে যাচ্ছে।

প্রশ্ন : হিফজের পাশাপাশি কতটুকু অন্যান্য বিষয়াদি পড়ানো উচিত?

উত্তর : আমরা যাকে জরুরিয়াতে দ্বীন বলি। দ্বীনের প্রয়োজনীয় মাসআলা মাসাইলসহ অন্যান্য বিষয় অবশ্যই পড়ানো উচিত। একটা বাচ্চা প্রথম দিন থেকেই কুরআন হিফজ শুরু করে না। তাকে দুনিয়ার অন্য বিষয়ের ক্ষেত্রে একেবারে বেখবর বানিয়ে বড় করা বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।

আমার বার্তা/ সি এইচ কে

আরো পড়ুন