প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে সরকারী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন করে পদের সংখ্যা বৃদ্ধি না করে অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত ৩২,৫৭৭ পদেই নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ চাকরী প্রত্যাশীরা। নতুন করে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন করে সার্কুলারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
আজ রবিবার সকাল দশটায় মিরপুর-২ এ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান, গোলাম রব্বানী, রবিউল রব্বানী, সৌরভ দাশ প্রমুখ।
জানা যায়, কোভিড-১৯ এর কারণে সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত হয়।পরবর্তীতে সময়ক্ষেপণ করে ২০১৫-১৬ সেশনের অনার্সের (স্নাতক) শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে, পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার আগে ২০/১০/২০২০ইং তারিখে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ফলে ১৫-১৬ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে নি।। করোনা ভাইরাসের পেন্ডামিক অবস্থার কারণে এসব শিক্ষার্থীরা ২ বছরে বড় কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাননি। কিন্ত তাদের চাকরির নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম হচ্ছে।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত যে ৩২,৫৭৭ পদের পরিবর্তে ৪৫ হাজার বা ৫৮ হাজার (প্রায়) শিক্ষক উক্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া হবে।এত সংখ্যক পদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৪/৫ লক্ষ শিক্ষিত বেকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। তাদের প্রতি চরম অবিচার করা হবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। চাকুরি প্রত্যাশীরা বলছেন প্রতিযোগীতামূলক নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে তারা মহান এ পেশায় এসে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে জাতি গড়ার কারিগর হিসেবে নিয়োজিত থাকতে চান।তাদের সকলের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নতুন করে পদসংখ্যা বৃদ্ধি না করে অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত ৩২,৫৭৭ টি নিয়োগ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবকদের দাবি," নতুন করে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।যাতে আগেরবার বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা নতুন করে আবেদন করতে পারে।গত দুই বছর করোনার ক্ষয় -ক্ষতি বিবেচনা করে নতুন করে আগামী ৩০ জুন ২০২৩ এর আগেই দ্রুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে"।
এবি/ইজা