আবাসন ব্যবসায়ীর বাসায় প্রকাশ্যে গুলির ঘটনা বেস সমালোচিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সোচ্চার হয়েছে সব অঙ্গনের মানুষ। অবশেষে সেই গুলির রহস্য খুলতে শুরু করেছে। গুলির ঘটনায় যুবদল নেতা হাসান মাহমুদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকা থেকে তাকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করা হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। হাসান মাহমুদ ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্যসচিব ছিলেন।
গ্রেপ্তারের সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, মাদক বিক্রির সামগ্রী, লাল রঙের মোটরসাইকেল, নগদ ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল মোহাম্মদপুর শের-শাহ-শরি রোডে এক আবাসন ব্যবসায়ী বাসায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার দিন অভিযুক্তরা হেলমেট পরিহিত থাকায় তাদের শনাক্ত করা কঠিন ছিল। তবে গোয়েন্দা তথ্য, পোশাক এবং শারীরিক গঠন বিশ্লেষণ করে সন্দেহভাজনদের তালিকা তৈরি করা হয়।
হাসান মাহমুদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান। তার বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে চাঁদা চেয়ে গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তাকে মাদকদ্রব্যসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান মাহমুদ অস্ত্র রাখার বিষয়েও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এদিকে, ৭ মে যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তর-এর যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহম্মেদ খান ইকরামের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়—দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গুরুতর অপরাধে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে হাসান মাহমুদকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ
