জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার নগদ অর্থ পাঁচ বছরে বেড়েছে ১৪ গুণ। সেই সঙ্গে জমিসহ স্থাবর সম্পত্তিও বেড়েছে। যা কয়েকবছরের তুলনায় অনেক বেশি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন রংপুর-১ (গংগাচড়া-আংশিক সিটি) আসনে মসিউর রহমান রাঙ্গা। সেই দাখিল করা হলফনামায় নগদ অর্থ ৪ কোটি ২৪ লাখ ৬ হাজার ৬২৮ টাকা দেখানো হয়েছে। অথচ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় দেখানো হয়েছিলে নগদ অর্থ ২৭ লাখ ৮ হাজার ৫৪৬ টাকা। অর্থাৎ এই পাঁচ বছরে নগদ অর্থ বেড়েছে ১৪ গুণ। এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর আগে জমা না থাকলেও এবার হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৩ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে হলফনামায় সঞ্চয়পত্রে তার বিনিয়োগ ছিল ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৪ টাকা। পাঁচ বছর পর এবারের হলফনামায় তা দেখানো হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৪ হাজার ২১৫ টাকা। এখানেও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বিনিয়োগ।
জ্যামিতিক হারে নগদ অর্থসহ অন্যান্য সম্পদের সঙ্গে পাঁচ বছরে বেড়েছে জমিসহ স্থাবর সম্পত্তিও। হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে জমির পরিমাণ ১২ একর ৩৩ শতক দেখানো হয়েছিল। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৬ একর ৫৪ শতকে। আর পাঁচ বছর আগে কৃষি, অকৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, বাগান ও খামারের মূল্য ও আয় ছিল ৩ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার ২৭৫ টাকা। এবার দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৬ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৮ সালে ব্যাংক ঋণ দেখানো হয় ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪১৫ টাকা। সবশেষ ২০২৩ সালের হলফনামায় ব্যাংক ঋণ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৭ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, কৃষিখাত, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা, চাকরিসহ শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র।
মসিউর রহমান রাঙ্গা রংপুর-১ আসনে ২০০১ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। পরবর্তিতে পুনরায় ২০১৮ সালে একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে রাঙ্গা বিরোধী দলীয় চিফ হুইফ হিসেবে মনোনয়ন লাভ করেন এবং অদ্যবধি তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
আমার বার্তা/জেএইচ