ফেনীতে দুর্বৃত্তদের লাঠির আঘাত ও শ্বাসরোধে পারুল আক্তার (৫০) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহি গোবিন্দ গ্রামের সামছুল হক ভূঞা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পারুল ওই বাড়ির সৌদি আরব প্রবাসী আতাউর রহমান আত্তপ মিয়ার স্ত্রী।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাশিম বুধবার রাত ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটাল তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে ।
বাড়ির লোকজন জানান, পারুলের বড় ছেলে তুহিন প্রবাসে, ছোট ছেলে তন্ময় বাড়ির বাইরে ছিল। পারুল ঘরে একা ছিলেন। এ সুযোগে দুর্বৃত্তরা বুধবার রাতে ওই ঘরে ঢুকে তাকে লাঠির আঘাতে ও গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
প্রবাসী আতাউর রহমানের চাচাতো ভাই জিয়া উদ্দিন সোহাগ বাড়ির বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে জানান, লাঠির আঘাতে পারুলের মাথায় রক্তক্ষরণ হয় এবং একই সময়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাকে হত্যা করে। ছোট ছেলে তন্ময় বাড়ি ফিরে মায়ের নিথর ও রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিলে লোকজন সেখানে জড়ো হয়।
নিহতের বড় ভাই আবদুল মতিন চৌধুরী জানান, পারুলের স্বামী ও বড় ছেলে প্রবাসে থাকেন। তিন সন্তানের মধ্যে ছোট ছেলে ফেনী শহরে গিয়েছিলেন। একমাত্র মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। পুত্রবধূ বাপের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন।
এদিকে, খবর পেয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি বলেন, বিষয়টি পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী পারুল দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের ছোট বোন।
আমার বার্তা/জেএইচ