কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমনকে র্যাবের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের আখড়া বাজারের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
করিমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণ্যমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভোর ৪টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন বিএনপির অন্য নেতাদের সঙ্গে করিমগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তার করে করিমগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
সাইফুল ইসলাম সুমন পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে কিশোরগঞ্জ শহরকে মুক্ত করার নেতৃত্বদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানি কমান্ডার কবির উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে। কবির উদ্দিন আহমেদ বিএনপির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই দলটির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন।
তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি। ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৪ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সাইফুল ইসলাম সুমনও বাবার পথ ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। পরে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপি যুব বিষয়ক সম্পাদক।
সুমনের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বিজয়ের স্বাদ আজও আমরা নিতে পারছি না এই কথা গুলো মনে করলেই কষ্ট বেড়ে যায়। ভিপি সুমনের বাবার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা পাক বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল। আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছরে পদার্পণ করেছি আমরা। ভিপি সুমনকে তার বাবার স্বাধীন করা দেশে বিজয় দিবস পালন করতে দেয়া হয়নি। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে! আমরা এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারকে বলব এভাবে গ্রেপ্তার করে আন্দোলন থেকে আমাদের সরিয়ে রাখতে পারবে না। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সর্বময় রাজপথে আছি থাকব।
আমার বার্তা/জেএইচ