বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির বিরুদ্ধে তার স্বামী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) হামিদুল আলম মিলনের মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমান এমপি ও নৌকার প্রার্থী সাহাদারা মান্নান রোববার জেলা প্রশাসক এবং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার সাইফুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সোমবার বিকালে রিটার্নিং অফিসার জানান, অভিযোগের কপি হাতে পাননি। পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান এমপি সাহাদারা মান্নান লিখিত অভিযোগে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজাহাদী আলম লিপির স্বামী সরকারি সুবিধাভোগী হামিদুল আলম মিলন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন)। শাহাজাদী আলম লিপি নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে তার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা স্বামীকে প্রতিনিয়ত তাজুরপাড়ার বাসায় বসিয়ে রেখে তার পক্ষে কাজ করার জন্য সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। তার ক্ষমতা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছেন; যা জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
অভিযোগের কপি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, বগুড়া পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, দায়িত্বপ্রাপ্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সারিয়াকান্দি থানার ওসিকে দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া-১ আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, সোমবার বিকাল পর্যন্ত এমপি প্রার্থীর অভিযোগের কপি হাতে পাননি। এটি পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য পেতে সোমবার বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপিকে ফোন দিলে তিনি ফোনের সুইচ বন্ধ করে দেন।
তবে তার স্বামী বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) হামিদুল আলম মিলন বলেন, বর্তমান এমপির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।