ঢাকা মেডিকেল কলেজের পর এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে একজন ভুয়া চিকিৎসকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ভুয়া চিকিৎসক সামিউর রহমান (৩৭) নগরীর উপ ভদ্রা এলাকার রাশেদুর রহমানের ছেলে। আটকের পর তাকে স্থানীয় থানা পুলিশে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে আনসার সদস্যরা।
জানা গেছে, সামিউর রহমানের শরীরে অ্যাপ্রন। কাঁধে ঝুলানো স্টেথোস্কোপ। গলায় রয়েছে আইডি কার্ড। তিনি নিজেকে একজন এমবিবিএস চিকিৎসক দাবি করেন। আসলে তিনি কোনো চিকিৎসক নন। ভুয়া এসব আইডি কার্ড ব্যবহার করে হাসপাতালে আসেন তিনি।
সামিউর রহমান বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল বড় চিকিৎসক হওয়া। কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারণে হতে পারিনি। আমি মাঝে মাঝে শখের বসে এসে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতাম। সামিউর নিজেকে ইসলামী ব্যাংক ইনিস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলোজির শিক্ষার্থী দাবি করেন।
রামেকের আনসার পিসি শহিদুল ইসলাম বলেন, সামিউর রহমান ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিলেও পরে স্বীকার করেন তিনি চিকিৎসক নন। এরপর তাকে আটক করে রামেক হাসপাতালে পুলিশ বক্সে নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মেদ বলেন, একজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। তবে মনে হচ্ছে তার মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হক বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে থানায় দেয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করা হয়। গত ২৩ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে তাকে আটক করে আনসার সদস্যরা।
আমার বার্তা/জেএইচ