উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ২ যোগ্য নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান, আমিরুল ইসলাম,অপর একজন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দুই দুইবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ জিন্নাহ একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ।
রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে নিজ নিজ সমর্থন আদায় ও প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে দুই প্রার্থী।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায় আগামী ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়। আগামী ৮ মে ২০২৪ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে দলের শীর্ষ ২ নেতা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। রমজানের প্রথম থেকে মাসব্যাপী একই দলের নিজ নিজ সমর্থিত কর্মীদের নিয়ে চলছে নানা রকমের অনুষ্ঠান আয়োজনে নির্বাচনী প্রচারণা ও নিজ নিজ সমর্থন আদায় ও ভোটারদের দোয়া প্রত্যাশার কার্যক্রম। একই দলের যোগ্যতা সম্পন্ন দুই প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মীরা ভুগছেন দ্বিধা বিভক্তিতে ।
সম্প্রতি সময়ে উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী একাধিক অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা মতামত প্রকাশে জানান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম একজন ভালো মানুষ। এলাকায় কোন রকমের দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টিতে সমর্থন তার নেই এবং বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব মহিউদ্দিন সাহেবের আস্থাভাজন কর্মী। অপরদিকে একশ্রেণীর নেতাকর্মী উপজেলা আওয়ামী লীগ বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দুই দিবারের ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ জিন্নাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নিয়েছেন। তাদের বিবেচনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সুযোগ্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কর্মী বান্ধব নেতা হিসাবে মনসুর আহমেদ জিন্নাহ তাদের আস্থা অর্জন করেছেন। নির্বাচনে দুই প্রার্থীর জয় পরাজয়ের বিষয়ে এখনই অনেকেই মতামতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। তাদের বিবেচনায় আগামী ১৫ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়।
দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র দেখে প্রার্থিতা বাছাইয়ের পর ,জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মহিউদ্দিন সাহেবের দিক নির্দেশনায় নির্বাচনী প্রার্থীদের পক্ষে মতামত দেয়া হবে। মতামত প্রকাশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীর একটি অংশ জানান নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মনসুর আহমেদ জিন্নাহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে রেখেছে। তিনি কর্মীবান্ধব আওয়ামী লীগ নেতা । উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সুযোগ্য সন্তান। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুগ উপযোগী এবং দল গোছানো কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে মনসুর আহমেদ জিন্না উপজেলা চেয়ারম্যান যোগ্য প্রার্থী। কর্মীদের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে নেতা কর্মীদের মনজয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে মনসুর আহমেদ।অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক কর্মীদের মন জয় করে আস্থাভাজন প্রার্থী হিসেবে যোগ্যতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে,উপজেলা চেয়ারম্যান বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আমিরুল ইসলাম। তাদের মতামতে আমিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পদে নির্লোভ ,নীর অহংকার ভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দলের নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টিতে দাঙ্গা হাঙ্গামায় আমিরুল ইসলামের সমর্থন নেই। আমিরুল ইসলাম সার্বিক বিবেচনায় অত্যন্ত ভালো মানুষ হিসাবে আওয়ামী লীগ এবং দলের বাহিরের ভোটার গণ তাকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে যোগ্য প্রার্থী বিবেচনা করেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. লিটন মিয়া জানান তফসিল ঘোষণার পর থেকে আজ শনিবার ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন । একজন সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আঁখি অপর একজন সাইফুল ইসলাম মন্টু ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী । চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কেউ এখনো মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন নাই।