মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ৬০ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মেঘনা নদী বেষ্টিত হোসেন্দী ইউনিয়নের সব কয়টি কেন্দ্রসহ গজারিয়া ইউনিয়নের কাজীরগাঁও ও নয়ানগরসহ ১০ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে বহিরাগত সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার অভিযোগ রয়েছে ।
সোমবার (৬ মে) নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন বিকাল ৬ টায় ভাটেরচর দে এ মান্নান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কাপ পিরিচ প্রতীক প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় এই হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধান বক্তা।
প্রধান বক্তা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিআইপি রেফায়েত উল্লহ খান বক্তব্যে অভিযোগ করেন হোসেন্দী ইউনিয়ন জামালদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, আশরাফদি সরকারী প্রাথমিক, ইসমানিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টান বলাকি ও বাটি বলাকী এবং গজারিয়া ইউনিনা , কাজিরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ ১০ ভোট কেন্দ্র নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত। তিনি আরো জানান এসব এলাকার ভোটারদের আশঙ্কা প্রতি নির্বাচনে নদী যোগে বিভিন্ন বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রে হামলা চালায় ।
স্থানীয় ভোটাররা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এই সকল ভোট কেন্দ্রে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সদস্য বাহিনীদের প্রতি কঠোর নজর ধারি রাখার দাবি রাখেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার জানান উপজেলাধীন ৬০ টি ভোট কেন্দ্র আছে । চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আকাশ মৌখিকভাবে ইমামপুর ইউনিয়নের সব কয়টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়েছেন। অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ জিন্নাহ লিখিতভাবে ১০ টি ভোটকেন্দ্র কে ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেছেন । নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন দিন গজারিয়ায় ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহ , ৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য,র্যাব ও থানা পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।