কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার হালিমপুর ইউনিয়নের সুজাতপুর গ্রামে গরু চুরির সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন এক যুবক। চুরিকৃত গরুসহ ওই যুবককে ধরে জনতা পুলিশে সোপর্দ করে।
আটক যুবকের নাম এবাদত হোসেন নাঈম (২২), পিতা: বোরহানউদ্দিন, গ্রাম: চাঁনপুর মধ্যপাড়া, উপজেলা: কটিয়াদী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে সুজাতপুর এলাকার এক বাড়ি থেকে গরু চুরি করে পালানোর সময় নাঈমকে সন্দেহভাজন মনে হয় গ্রামবাসীর।
তাকে ধাওয়া করে গরুসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং গরুটি কোথা থেকে এনেছে তা জানতে চায়।
পরবর্তীতে খবর দেওয়া হলে বাজিতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটক যুবককে হেফাজতে নেন এবং থানায় নিয়ে যান।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি সুজাতপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে গরু চুরি, চোর সন্দেহে লোকের ঘোরাঘুরি, এমনকি দিন-দুপুরে বাড়ির উঠান থেকে জিনিসপত্র চুরির ঘটনা বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মালেক বলেন রাত-বিরাতে মানুষ ঘুমাতে পারছে না। একেকদিন একেক জায়গায় চুরি হচ্ছে, এই চোরকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়েছে বলেই বুঝা যাচ্ছে, চক্র কাজ করছে। পুলিশি টহল বাড়াতে হবে।
বাজিতপুর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম জানান গ্রামবাসীর তৎপরতায় গরু চোর আটক করা সম্ভব হয়েছে। তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েক মাসে সুজাতপুর, রামনগর ও পিরিজপুর গ্রামে অন্তত ৪টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় কাউকে ধরা সম্ভব হয়নি। নাঈমের মাধ্যমে চক্রটির তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে রাতের বেলা নিয়মিত পুলিশ টহল নিশ্চিত করা, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করা,এবং থানা প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে।