টাঙ্গাইলের সখীপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে ফেরার পথে এক গৃহবধূ (৩০) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার সকালে ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সখীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—গড়গোবিন্দপুর এলাকার মৃত বুজরত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৯) ও বড় মৌশা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (৪০)। অপর অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় গৃহবধূটি তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে বড় মৌশা বাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা হলে তারা কৌশলে তাকে ‘বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার’ কথা বলে একটি নির্জন ও পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের শিকার নারী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে সোমবার সকালে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া জানান, “ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে আসামি করে মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর পলাতক আসামিকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, বড় মৌশা এলাকায় সম্প্রতি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়ছে। এ ধরনের ঘটনা সমাজে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।