গাইবান্ধা সদর উপজেলায় একই দিনে ২ হত্যাকান্ড'র ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে ঐ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যে'র ও সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে,গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা চরপাড়া গ্রামের নিহত ইউনুস আলীর সঙ্গে তার বড়ভাই রফিকুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ইউনুস আলীর সাথে বড়ভাই রফিকুল ইসলামের বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় রফিকুল ইসলামের ছেলে মোতালেব,লতিফ,মোনারুল ইউনুস মিয়াকে একা পেয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে কোপাতে থাকে। এতে গুরুতর আহত হন ইউনুস মিয়া।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত ইউনুস মিয়া সোনাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফয়জার মিয়ার ছেলে।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেররণ করে।এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
অন্যদিকে একইদিন সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জলের মোড়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে লুতফা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। শনিবার বিকেলে জলের মোড় এলাকার নিজ বাড়ির উঠানে বৃদ্ধা লুতফা বেগমের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।এ হত্যাকান্ডে প্রতিপক্ষের লোকজন শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহত লুতফা বেগম জলের মোড় গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী।
একই দিনে এ দুই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, নিহত দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইউনুস মিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অপর ঘটনায় কারা বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যা করেছে,সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে তদন্ত চলছে'।
এবি/টিএ