টানা ভারীবর্ষন আর ক্রমাগত পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে হু হু করে বেড়েই চলেছে সুরমা নদীর পানি, যার ফলে সুনামগঞ্জে দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা৷ ঈদের দিন থেকেই টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জে ঈদের আনন্দে ভাটা পড়েছে। ঈদে বেশির ভাগ মানুষই গৃহবন্দী।
নদীতে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় রোববার সকাল ৮ টায় দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর, যোলঘর, কাজির পয়েন্ট, বড়পাড়া, নতুন পাড়া সহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়৷ ক্রমাগত পাহাড়ি ঢলের পানি অব্যাহত থাকলে বন্যার ভয়াবহ রূপ দেখা দিবে শহরজুড়ে৷
এদিকে সুনামগঞ্জ অভ্যন্তরীণ সুরমা ধোপাজান, জাদুকাটা অংশে নদ-নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ১২টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে বন্য কবলিত হওয়ার খবর পাওয়া যায় ৷ বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জ পৌরসভার বর্ধিত এলাকা ও জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বন্যার শঙ্কায় পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। ছাতক উপজেলা সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ৩ দিনের অব্যাহত বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের সুরমা, জাদুকাটা, ধুপাজানসহ ছোট-বড় সব নদীর পানি বেড়েছে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, পার্শ্ববর্তী ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় এর প্রভাব রয়েছে । এতে সুনামগঞ্জ জেলায় মাঝারি আকারে বন্যা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি বলেন - নদীর পানি এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে চারদিকে পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় থাকায় সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। ঈদুল আজহার চতুর্থ দিনে অব্যাহত থাকবে। এ দিন সুনামগঞ্জসহ বিভিন্নস্থানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে।
এবি/টিএ