ই-পেপার রবিবার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩২

নালিশ করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা

কাস্টমসের হয়রানিতে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা, রাজস্ব বোর্ডের নীরব ভূমিকা
মো. রাজিব উদ্-দৌলা চৌধুরী:
২৮ মে ২০২৪, ২২:৩২

কাস্টমস হাউস হতে আমদানিকৃত মালামাল খালাস করতে হলে পণ্যের এইচ এস কোড এবং পণ্য সম্পর্কে একটা ডিক্লারেশন বা ঘোষণা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষকে প্রদান করতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিনিধি জানান, শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানাটি চীন হতে ৯০ হাজার কেজি কাপড় আমদানির এলসি খোলে। তিন ধাপে এই কাপড় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসে। শেষ ধাপে আসা পুরো ২২ কেজি কাপড় আসার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে ১ হাজার ৭০০ কেজি কাপড় বেশি আসে। এই অতিরিক্ত কাপড় সংশ্লিষ্ট কাস্টমস্ কর্মকর্তারা মিথ্যা ঘোষণা হিসেবে অভিযুক্ত করে কাপড়গুলো জব্দ করেন। পরে মিথ্যা ঘোষণার অভিযোগে ঐ পোশাক কারখানাকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করে এবং সেই সঙ্গে বাড়তি আসা কাপড়ের শুল্কায়ন করা হয় ৪.৫০ লাখ টাকা। শুল্কায়নকৃত টাকা জমা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়।

তাছাড়া রয়েছে বন্দরে নির্ধারিত সময়ের বেশি পণ্য রাখার মাশুল বা পোর্ট ডেমারেজ দাঁড়ায় আরো ১৫ লাখ টাকা। ততদিনে ০২ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। এদিকে পণ্য জাহাজীকরণ বা শীপম্যান্ট সময়ও শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ৫০% মূল্য ছাড়ে সেই পোশাক রপ্তানি করতে হয়। অথচ মাস্টার এলসি এবং ব্যাক টু ব্যাক এলসি ও কাঁচামাল আমদানি প্রাপ্যতায় অর্থাৎ ইউডিতে ০৩ শতাংশ পণ্য বা কাপড় কমবেশি গ্রহণযোগ্য বা টলারেন্সের বিধান রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২ হাজার ৬০০ কেজি কাপড় বেশি আসলেও সমস্যা ছিল না। পণ্য বা কাঁচামাল আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন ধরনের হয়রানি দীর্ঘদিন থেকে ব্যবসায়ীরা নীরবে সহ্য করে আসছে। এসব বিষয় ব্যতিরেকেও ব্যবসায়ী নেতারা ব্যাংক ঋণের সুদের হার ,আমদানিকারকদের নির্ধারিত মূল্যে ডলার সরবরাহ, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ, নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার দাবি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত শনিবার রাতে গণভবনে ওই বৈঠকে তুলে ধরেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানির বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তারা করের চেয়ে জরিমানা আদায়ে অতি উৎসাহী। কারণ জরিমানার একটি অংশ কর্মকর্তারা পান। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের ঘুষ দিলে জরিমানার পরিমাণ হ্রাস পায়।

এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা টাকা দেন কেন? উপস্থিত একজন ব্যবসায়ী বলেন, মূলত হয়রানি এড়াতেই টাকা দেয়া হয়। কারণ জরিমানা প্রক্রিয়া শেষ হতে অনেক সময় ক্ষেপন হয়। এদিকে, পণ্যটি যথাসময়ে রপ্তানি করার বিষয়টি সর্বাগ্রে স্মরণ রাখতে হয়। সময়মত রপ্তানি না করতে পারলে ক্রয়াদেশও বাতিল হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে জরিমানা এড়াতে ঘুষ দিয়ে পণ্য খালাস করা হয়। দীর্ঘদিন একই এইচ এস কোড দিয়ে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে হঠাৎ এইচ এস কোড পরিবর্তন বা ভুল উল্লেখ করে ৩ গুণ অর্থাৎ ২৫০ শতাংশ জরিমানা আরোপ করে থাকে। তাতে করে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতা বাংলাদেশি পণ্য ক্রয়ে মুখ ফিরিয়ে নেন।

কাস্টমসের হয়রানির বিষয়ে বিজিএমই এর সভাপতি এস এম মান্নান আমার বার্তা প্রতিনিধিকে জানান, এইচ এস কোডের দাড়ি কমা ভুল হলে কিংবা ওজনের কোন ধরনের হেরফের হলে বিশাল অংকের জরিমানা চাপিয়ে দেন এই কাস্টমস কর্মকর্তারা। অপরদিকে, ব্যবসায় চতুর্মুখী খরচ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে, যার ফলে ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীর সংখ্যা খুবই নগণ্য। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে ০১ নম্বর সমস্যা দুর্নীতি। দুর্নীতি নিরসনের জন্য সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিবর্গ আমার বার্তা প্রতিনিধিকে বলেন,পণ্য বা কাঁচামাল আমদানি-রপ্তানির পুরো প্রক্রিয়াটি অটোমেশন হওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনো হয়নি। সেই দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছেন কিছু কর্মকর্তা। বাংলাদেশে বর্তমানে বহুমুখী পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে এইচ এস কোড (হারমোনাইজ সিস্টেম কোড) আরও সুনির্দিষ্ট হওয়া প্রয়োজন। এবিষয়ে কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেয়ার কথা থাকলেও তা অদ্যাবধি হয়নি।

আমার বার্তা/মো. রাজিব উদ্-দৌলা চৌধুরীএমই

১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার তদন্তে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে যাওয়ার

ই-রিটার্ন দেওয়া যাবে সারাবছর, বকেয়ার ওপর মাসে দুই শতাংশ চার্জ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, এখন থেকে সারাবছর অনলাইনে আয়কর

এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কার বেশি প্রয়োজন: সালেহউদ্দিন

এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কারের বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তারমতে, প্রক্রিয়াগত আইন

সব জিনিসের দাম একত্রে কমবে, এটা আশা করি না: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাজারে সব জিনিসের দাম একত্রে বেড়ে যাবে, এটা পৃথিবীর কোন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাংলা একাডেমিকে ঢেলে সাজানো হবে: উপদেষ্টা ফারুকী

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ভারতের বিকল্প হতে পারে চীন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

চীন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: জামায়াত আমির

মার্কিন সহায়তা নিয়ে কি আছে ইউএসএইডের চিঠিতে

১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার তদন্তে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

নির্বাচনের সময় এই সরকার যথেষ্ট নিরপেক্ষ থাকবে: আসিফ নজরুল

অবাধ-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে বদ্ধপরিকর সরকার

র‍্যাবের সাবেক ডিজি হারুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কোনো দলের নির্বাচনে অংশগ্রহনের প্রক্রিয়া সরকার বাতলে দেবে না

আন্দোলনে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলির প্রমাণ মিলেছে

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের পদযাত্রা শাহবাগে আটকে দিলো পুলিশ

ই-রিটার্ন দেওয়া যাবে সারাবছর, বকেয়ার ওপর মাসে দুই শতাংশ চার্জ

প্রতিদিন আদা-লেবুর পানি খেলে শরীরে যা ঘটে

ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলে অক্টোবরের মধ্যেই প্রস্তুতি শেষ করতে হবে: সিইসি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব অকৃত্রিম

জেল পলাতক ৭০০ আসামিকে এখনো ধরা যায়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিএনপির সঙ্গে ছাত্রনেতাদের দূরত্ব বা ভুল বোঝাবুঝি কাম্য নয়

দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন কূটনীতির খেলোয়াড় ডোনাল্ড লুর চুপিসারে বিদায়

এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কার বেশি প্রয়োজন: সালেহউদ্দিন

সব জিনিসের দাম একত্রে কমবে, এটা আশা করি না: অর্থ উপদেষ্টা