ইরানের হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকিতে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে দেশে। অপরিশোধিত তেল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) অর্ধেকই আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার থেকে।
দুই দেশেরই জ্বালানি বাণিজ্যের একমাত্র রুট হরমুজ প্রণালি। গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথ বন্ধ হলে, জ্বালানি ঘাটতিতে পড়বে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় দ্রুত সরকারকে জ্বালানির বিকল্প উৎস খোঁজার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুমকিতে জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা, বিকল্প খোঁজার তাগিদ।
ইরান-ইসরাইল পাল্টাপাল্টি হামলার প্রেক্ষাপটে যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হতে পারে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জলপথ হরমুজ প্রণালি। ৩৪ কিলোমিটারের দীর্ঘ এই জলপথ চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশেরও। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) তথ্য বলছে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৮৭ কার্গো এলএনজি আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২৬৭ কার্গো কাতার এবং ওমান থেকে এসেছে ১২২ কার্গো। অর্থাৎ চাহিদার ৮০ শতাংশ মেটাচ্ছে এই দুই দেশ।
চলতি অর্থবছরেও ৫৬ কার্গো এলএনজির মধ্যে এপ্রিল পর্যন্ত এসেছে ৪৬ কার্গো। হরমুজ প্রণালি বন্ধ হলে, বাংলাদেশকে জ্বালানি সরবরাহ করতে পারবে না কাতার।
আমার বার্তা/এল/এমই