
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নবম যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নৌচলাচল, আকাশপথের যোগাযোগ বাড়ানোসহ বেশ কিছু বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জিইসির মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ পাকিস্তান নবম জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশনের একটা সভা করেছি। এটা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ সভা ছিল। ২০০৫ এর পরে এটি হয়নি। আমরা কৃষি, ট্রেড, কমার্স, আইটি, সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও ফুড প্রত্যেকটি আইটেম নিয়ে আলাদা আলাদা আলোচনা হয়েছে। সবগুলো দুটো দেশের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শুধু দুটি দেশই না দক্ষিণ এশিয়ার আরো অন্যান্য দেশও এখানে রয়েছে আমরা যদি এটা এমনভাবে প্রোফাইল করতে পারি তাহলে সবার জন্য বেটার হবে। এটা এখনও কিছুটা হয়নি। আমরা সার্কটা চেয়েছিলেন শক্তিশালী করতে কিন্তু এটা এখনও উইক।’
এসময় পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এ আলোচনার কারণে দুই দেশের জনগণ মধ্যে সম্পর্ক বাড়বে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। আজকে আমরা বাংলাদেশ থেকে পাট, ওষুধ নেয়ার বিষয় আলোচনা করেছি।’
এর আগে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) নবম বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের পক্ষে এবং পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিক।
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং পাকিস্তানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী আলী পারভেজ মালিকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ সুরক্ষা, কৃষি, ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, জ্বালানি সহযোগিতা এবং শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিশেষ অগ্রাধিকার পাচ্ছে আলোচনায়।
বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনাও রয়েছে। এর আগে সবশেষ ২০০৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের সঙ্গে জেএসই বৈঠকে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ।
আমার বার্তা/এমই

