
আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে না আসলে, আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমদানির অনুমোদন চেয়ে দুই হাজার ৮০০ টি আবেদন রয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, পেঁয়াজের দাম একপর্যায়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় নেমে এসেছিল। যেটা কৃষকদের জন্য সুখকর ছিল না। এরপর বহুদিন পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ছিল।
তিনি বলেন, হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেল। আমরা বাজারের নজর রাখছি। দেশে যথেষ্ট পেঁয়াজের মজুত রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। ফলে আগামী চার পাঁচ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক না হলে আমরা আমদানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
দুই হাজার ৮০০ আমদানির আবেদন আছে বলে তিনি জানান, সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য পেঁয়াজ মজুতও করা হচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে। এর ১০ শতাংশ যদি অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে বাজারে পেঁয়াজের সয়লাব হয়ে যাবে। কৃষক ক্ষতির মুখে পড়বেন। এজন্য আমরা সামগ্রিক বিবেচনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
বশিরউদ্দীন বলেন, পেঁয়াজের সংরক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার হাইফ্লো মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাব হবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, একাধিক কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। মৌসুমের শেষ, হঠাৎ করে ভারী বৃষ্টি, পেঁয়াজ সংরক্ষণের সময় শুকিয়ে যাওয়ার পরে ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি কারণে দাম বেড়েছে।
৪ থেকে ৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি কি মজুদদার বা সিন্ডিকেটের কারণে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, 'আমার কাছে মজুমদারি বা সিন্ডিকেটের খবর নেই। সাময়িক সংকট তৈরি হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সংকট কেটে যাবে।'
সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, দুই থেকে আড়াই দিনের বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া আর কোনো কারণ নেই। এরপর দাম কিছুটা কমে এখন স্থির রয়েছে। আমরা কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি।
কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বর্তমানে দেশে সাড়ে তিন লাখ টন পেঁয়াজের মজুত রয়েছে। এ মাসে ৮৫ থেকে ৮৭ হাজার টন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। আর আগামী মাসে আসবে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ। ইতোমধ্যে কিছু আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপরেও পেঁয়াজের জাম দাম যেভাবে বেড়েছে, তার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও বলেন, 'বাণিজ্য উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে আমরা আমদানির অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।'
আমার বার্তা/এল/এমই

