মিয়ানমারের সামরিক প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জান্তাপ্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে।
এনিয়ে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের রোহিঙ্গা অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মুখপাত্র খলিলুর রহমান তুরস্কের রাষ্টায়ত্ত সংবাদসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার মিন অং হ্লাইং বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান।
তিনি অভিযোগ করেছেন, হ্লাইং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বাসন ও নিপীড়নের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী।
আইসিসির হিসাব অনুযায়ী, ওই সহিংসতার ফলে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জোরপূর্বক মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়। আর বিতাড়িত অধিকাংশ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে।
এনিয়ে বাংলাদেশের সরকারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ দৌজা বলেছেন, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রোহিঙ্গা সংকটকে আবার বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এনেছে।
এ ছাড়া এক বিবৃতিতে করিম খান জানান, মিয়ানমারের সহিংসতায় ২০১৯ সাল থেকে চলমান তদন্তে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী তাতমাদাও, পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং কিছু বেসামরিক নাগরিকদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তবে বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার জান্তাপ্রধান।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার শাসন করছেন দেশটির শক্তিশালী সেনাবাহিনীর প্রধান অং হ্লাইং।