ই-পেপার শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

আমার বার্তা অনলাইন:
১২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৬

রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে। আর তাই বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে এমন আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন হাসনাত।

তবে তিনি কোন ঘটনায় এমন হতাশ হলেন তা তুলে ধরেননি। তার লেখাটা ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। ‌‘রাজনীতিবিদরা হাত মেলাচ্ছে, আর বিপ্লবীদের ফাঁসির দড়ি এগিয়ে আসছে।’

মন্তব্য খোলাসা না করলেও তার ফেসবুক অনুসরণকারীরা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপগুলো নিয়ে সন্দেহ এবং হতাশা প্রকাশ করে মন্তব্য করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আব্দুল্লাহ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একদফা (শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি) হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাদের (রাজনৈতিক দলগুলোর) সংবিধানপ্রীতি, মুজিবের ছবি সরানোর কারণে আমরা দেখলাম যে, গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য এই সংবিধানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা একটি দলের মাঝে এখন একটা প্রীতি দেখা যাচ্ছে। দেখলাম যে একটা বক্তব্য দেওয়া হয়েছে যে, এটা (শেখ মুজিবের ছবি সরানো) ঠিক হয়নি। মোস্তাকের সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে যে, মোস্তাক এই কাজ করেছিল।

রাজনীতির অগ্রজ এবং অনুজের মাঝে বিভাজন তৈরি হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এই বিষয়গুলো দুঃখজনক। এই সংবিধানের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। অথচ এই সংবিধানের অধীনে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকেই সরকার শপথ নিচ্ছে। এই বিষয়গুলো কোথাও না কোথাও বিপ্লব বা গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটে ঘাটতি তৈরি করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এর আগে গত রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি লাল করে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘সাঈদ, ওয়াসিম মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। ১৩৪শে জুলাই, ২০২৪’।

এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা মঙ্গলবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, কেউ অপরাধ করলে ইতিহাস ও জনগণ তা সিদ্ধান্ত নেবে। আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণমনা দল বিএনপি নয়। মুজিবের ছবি সরিয়ে দেওয়া উচিত হয়নি। বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো ঠিক হয়নি। খন্দকার মোশতাকও তার ছবি নামিয়েছিলেন আর জিয়াউর রহমান আবার টাঙিয়েছিলেন সেই ছবি।

যদিও কিছুক্ষণ পর আবার বিবৃতি দিয়ে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন তিনি। আগের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত: ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।

গত রোববার (১০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সদ্য শপথ নেওয়া মাহফুজ আলম এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দরবার হল থেকে সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তার ছবি সরাতে পারিনি। তবে মানুষের ভেতরে জুলাই স্পিরিট যতদিন থাকবে তাকে আর কোথাও দেখা যাবে না।

আমার বার্তা/এমই

বন্যায় টেলিযোগাযোগ সচল রাখতে দেওয়া হলো জেনারেটর

দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন করার নির্দেশনা বাতিল

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন করার নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে: আলী রীয়াজ

প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের

সংসদীয় আসনের পুরো ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফেরত চাইল ইসি

জাতীয় সংসদের কোনো আসনের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে পুরো আসনের ভোটের ফল স্থগিত বা বাতিল করার
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাবার উৎসাহে টেনিসের দুনিয়ায়, সেই বাবা কেন হত্যা করলেন মেয়েকে?

কর্ণফুলী ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

পতেঙ্গায় ১০ হাজার ইয়াবা ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ জন আটক

জুলাই সনদ, বিচার, নির্বাচন সব প্যাকেজ আকারে হতে হবে

জুলাই সনদকে মূলনীতিতে অন্তর্ভুক্তির কথা বলা ‘বিভ্রান্তিমূলক’

কুষ্টিয়ায় চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই

পাবনায় বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, সদস্য সচিবসহ বহিষ্কার ১০

ভারত থেকে কাঁচা মরিচ এলো ৮ মাস পর

বিয়ের ৩০ বছর পর একসঙ্গে দাখিল পাস করলেন দম্পতি

বোর্ডের ভরাডুবির মাঝেও কুমিল্লা জিলা স্কুলের অনন্য কীর্তি

গণতন্ত্র ব্যর্থ, আধুনিক সভ্যতা ভেঙে পড়েছে: মাহাথির মোহাম্মদ

দুই মাসে ৬ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে কুয়েত

বাহরাইনে প্রখর রোদে শ্রমিকদের কাজ না করার আহ্বান

ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র, অর্থ দেবে ন্যাটো: ট্রাম্প

নেইমারের গোল ও অ্যাসিস্টে দুর্দান্ত জয় সান্তোসের, মাঠে ঢুকে পড়ল দর্শক

বাস থেকে জোরপূর্বক নামিয়ে ৯ যাত্রীকে গুলি করে হত্যা

বন্যায় টেলিযোগাযোগ সচল রাখতে দেওয়া হলো জেনারেটর

দেশের অর্থনীতির করুণ অবস্থা চলছে : রুহুল কবির রিজভী

মুসলিমপ্রধান এক দেশের পাঁচ লক্ষাধিক নাগরিককে তাড়িয়ে দিয়েছে ইরান

কিছু বিষয় অমীমাংসিত রেখেই শেষ হলো দ্বিতীয় দিনের আলোচনা