
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জোট ও আসন সমঝোতার রাজনীতি শুরু হয়েছে। পুরোনো জোট ভেঙে নতুন জোটের রূপরেখা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের মিত্রতা দূরে ঠেলে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি কৌশল আঁটছে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তরুণদের নিয়ে গড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে জোট করছে গণঅধিকার পরিষদ। এই গুঞ্জনের সত্যতা কতটুকু?
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃত্ব গণঅধিকার পরিষদ জোট করবে—এমন সংবাদ শতভাগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাশেদ খান নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তবে যৌথ নেতৃত্বে জোট করার প্রস্তাব এনসিপির পক্ষ থেকে এসেছে। কিন্তু আমরা বলেছি, আরও আলোচনা প্রয়োজন। কারণ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি একীভূত হওয়ার আলোচনা মিডিয়াতে আসার পর এনসিপির কয়েকজন নেতার বক্তব্য ছিল অশোভন, অপরিপক্ক ও অরাজনৈতিক।’
রাশেদ খান বলেন, কিছু করতে গেলে উদারতা, আন্তরিকতা প্রয়োজন। আমরা বলেছি, আগে সবার মধ্যে সেই উদারতা ও পরিপক্বতা পরিলক্ষিত হোক, তারপর নির্বাচনি জোটের আলোচনা করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি কোন পুতুল পুতুল বিয়ে দেওয়ার খেলা নয়, বিয়ে দিলাম আর ভাঙলাম।
প্রসঙ্গত, এর আগে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ ও নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বাধীন নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির একীভূত হওয়ার কথা চাউর হয়েছিল এর আগে। শেষ পর্যন্ত সেটি আর হয় নি। এবার এই দুই দলের জোটের বিষয়টি বাস্তবে রূপ নেয় কিনা সেটি দেখার বিষয়।
আমার বার্তা/এমই

