আগামী মৌসুমে আর প্যারিসে থাকবেন না কিলিয়ান এমবাপে। যে কারণে শেষ সুযোগ কাছে লাগানোর জন্য দারুণ উদগ্রীব ছিলেন ফরাসি বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। চেয়েছিলেন, যাওয়ার আগে স্বদেশি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে (পিএসজি) অন্তত একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরেপা উপহার দিতে।
কিন্তু এমবাপের সেই স্বপ্ন ও ইচ্ছা পূরণ হলো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার মাত্র দুই ধাপ দূরে থেকে বিদায় নিতে হলো এমবাপের দল পিএসজিকে। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হারার পর এবার দ্বিতীয় লেগেও ১-০ গোলে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে হেরে গেছে পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ১১ বছর পর ফাইনালে চলে গেছে জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব ডর্টমুন্ড।
প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে হারের পর এমবাপে বলেছিলেন, এ তো কেবল অর্ধেক খেলা হয়েছে। অর্থাৎ ফিরতি লেগে নিজেদের ঘরের মাঠে ডর্টমুন্ডের গোল শোধ করার পর জয়ও তুলে নিতে পারবে পিএসজি। কোচ এরিক লুইসের কণ্ঠে বেজেছিল একই সুর। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছুই যেন বদলে দিলো ডর্টমুন্ড।
ম্যাচের ৫০ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ হেড করে পিএসজির জালে বল জমা করেন ম্যাটস হামেলস। শেষ পর্যন্ত আর সেই গোল শোধ করতে পারেনি পিএসজি। এতে ২০১৩ সালের পর প্রথম ইউরোপীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে জার্মান ক্লাবটি।
পার্ক দে প্রিন্সেসে এই ম্যাচে চারটি দারুণ সুযোগ করে পিএসজি। তবে চূড়ান্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। দলের জন্য বড় কোনো অবদান রাখতে পারেননি এমবাপে। ফলে ২০২০ সালের রানারআপ পিএসজি এবার বিদায় নিয়েছে সেমি থেকেই।
আজ আরেক সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামবে বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদ। আজ রাতের জমজমাট লড়াইয়ে যে দল জিততে তারাই উঠবে ফাইনালে। এরপর আগামী ১ জুন ইংল্যান্ডের ঐতিহাসিক ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনালে হয় রিয়াল না হয় বায়ার্নকে পাবে ডর্টমুন্ড।
আমার বার্তা/জেএইচ