সরকার পতন আন্দোলনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনো অভিভাবকশূন্য। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ কোনো বোর্ড পরিচালকও আসছেন না বিসিবিতে, যেখানে বিসিবির অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের অধিকাংশই সদ্য পতন হওয়া
সরকারদলীয় রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। নুরুল হাসান সোহানের মতে, ক্রিকেটের সঙ্গে রাজনীতির মিশ্রণ থাকা উচিত নয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়েছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে না নিতেই সামাজিক মাধ্যমে বিসিবির প্রতি ক্ষোভ ঝেরেছেন ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেন। এবার তোপ দেগেছেন সোহান।
মিরপুরে রোববার (১১ আগস্ট) অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমকে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করে জাতীয় দলে খেলা কখনোই উচিত নয়। রাজনীতি একটা বড় ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থেকে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন। কারো যদি রাজনীতি করার ইচ্ছে হয়, তাহলে তার খেলা থেকে অবসরের পর করা উচিত।
সরকার পতনের পরের দিনই জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তাতে করে মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসানদের সংসদ সদস্য (এমপি) পদ বাতিল হয়ে যায়। যেখানে মাশরাফি, সাকিব ছিলেন নড়াইল-২ ও মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য। আকার-ইঙ্গিতে যেন তাঁদের কথাই উল্লেখ করেছেন সোহান।
সোহানের দাবি, বিসিবিতে রাজনৈতিক পরিচয়ধারীদের অবস্থানই অধিকাংশে দায়ী। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা না। এখানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন, এমন ব্যক্তিদের বোর্ডে না আসাই ভালো।
আমার বার্তা/এমই